মুশফিকের ‘দলছুট’ অনুশীলন
তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন বাংলাদেশের নিয়মিত অনুশীলনের সূচি দুপুর দেড়টায়। কিন্তু তার বেশ আগে থেকেই মাঠে দেখা গেল মুশফিকুর রহিমকে। একা একা মাঠে চলে এসেছিলেন। থ্রো ডাউন আর নেট বোলারদের নিয়ে ব্যাট করেছেন অনেকক্ষণ। সেই অনুশীলনের ধরনেও ছিল টি-টোয়েন্টির ধাঁচ।
আগামীকাল শুক্রবার (৬ মার্চ) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় এই ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের এবং একইসঙ্গে একাদশে সুযোগ না পাওয়া খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখারও।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানিয়েছিলেন, এপ্রিল মাসে পাকিস্তানে একটা ওয়ানডের কথা মাথায় রেখেই তারা শেষ ম্যাচের একাদশের চিন্তা করছেন। মুশফিক যেহেতু পাকিস্তানে যাচ্ছেন না, শেষ ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনাও তাই কম।
খেলার সম্ভাবনা না থাকলেও স্কোয়াডেই রেখে দেওয়া হয়েছে মুশফিককে। ১৫ জনের দলের সঙ্গে শেষ ম্যাচে যোগ করা হয়েছে সৌম্য সরকারকেও।
বৃহস্পতিবার মুশফিকের আলাদা অনুশীলন শুরু হয় দুপুর ১২টার দিকে। নেটে নেমেই থ্রো ডাউনে মেরে খেলার অনুশীলন চালান তিনি। বেশিরভাগ বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়াতে দেখা যায় মুশফিককে। তার আগে একা একা রানিং করেছেন তিনি। দেড়টা থেকে অবশ্য দলের সঙ্গেই ফুটবল খেলেছেন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে চলেছে খুনসুটি।
অবশ্য মূল অনুশীলনের আগে অধিনায়কের আকস্মিক দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় বদলে গেছে আবহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটার মাহাত্ম্য এখন অন্যরকম। এই ম্যাচ দিয়েই যে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন মাশরাফি।
অধিনায়ক মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে মুশফিক থাকবেন কি-না নিশ্চিত করতে পারলেন না বিদায়ী অধিনায়ক, ‘দেখেন, এগুলো কিন্তু ছোটোখাটো টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত। এগুলো আসলে ক্যাপ্টেনও দিতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মুশফিক এমন একজন খেলোয়াড়, কখনো যদি ব্যাড-প্যাচও যায়, তারপরও যে পরিমাণ রান সে করেছে, বাংলাদেশের জেতার পেছনে তার অবদান, এসব চিন্তা করতে হবে।’
‘এখন চার নম্বরে... আমি নিশ্চিত, আপনারা যারা ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তারা জানেন যে, চার নম্বরে এখন সে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়। সবকিছু যদি বিবেচনার জায়গায় আনেন, তাহলে যে ছেলেটা পারফর্ম করে আসছে, ১২/১৩ বছর বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে, সে যাতে মানসিকভাবে চাপের মধ্যে না থাকে, তা খেয়াল রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।’
Comments