‘আজ সকালে মনে হয়েছে, দ্যাটস এনাফ’
সিরিজের আগের দিনও অধিনায়কত্বের শেষ কিনা, স্পষ্ট করেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান একবার আভাস দিলেও তার কথাতেও ছিল ধোঁয়াশা। অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে এসে মাশরাফি বললেন, আগেরদিন পর্যন্ত দ্বিধায় ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ যেন হয়ে থাকল বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাঁক বদলের সাক্ষী। সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলন। বাংলাদেশ আগেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় উত্তাপও নেই কিছু।
এমন সংবাদ সম্মেলনই হয়ে গেল আলোচনার কেন্দ্রে। মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমামের হাতে একখানা কাগজ, অধিনায়ক এসেই বললেন তার একটা ঘোষণা আছে। কি হতে যাচ্ছে, তখনই সব পরিষ্কার হয়ে যায়।
কিন্তু এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবতেও হয় অনেক, মানসিক প্রস্তুতি থাকে আগাম। মাশরাফি জানালেন অতশত ভাবাভাবির মধ্যেই ছিলেন না তিনি, ‘সত্যি বলতে এতো ভাবাভাবি করিনি। আমার কাছে মনে হয় সবাই চাচ্ছে ২০২৩ এর জন্য নতুন অধিনায়ক আনার সময় হয়েছে। তো আমাকে কিন্তু ভাবা উচিত, আমি মনে করি আমার ভাবা উচিত ছিল। ভাবার চেষ্টা করেও আমি আসলে এতো ভাবতে পারিনি। আমি আসলে এতো ভাবিনি। আজকে সকালে মনে হয়েছে, দ্যাটস এনাফ! সত্যি বলতে আজকে সকালেই মনে হয়েছে। কালকে পর্যন্ত সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম।’
তার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পেছনে কাজ করেছে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ঘিরে বোর্ডের চিন্তা। মাশরাফি আশা করেন বিসিবি যেন সেই চিন্তাতেই বহাল থাকে, ‘যে কথাগুলো হয়েছে বা হচ্ছে সেগুলো আমার জায়গায় আপনি হলেও আপনাকে ভাবাবে। এটা অবশ্যই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে যে কথাগুলো হয়েছে আমি আশা করবো সে কথায় যেন তারা স্থির থাকে। পরবর্তী অধিনায়ক যেন হয় ২০২৩ বিশ্বকাপের। এমন যেন না হয় বিশ্বকাপের একবছর আগে হঠাৎ বলা হল ওকে দিয়ে চলছে না। এমনটা বাংলাদেশে অহরহ হয়। সেটা হলে কিন্তু যে প্রক্রিয়াটা চালু হয়েছে সেটায় স্থির থাকা হল না।
‘আমি বিশ্বাস করি আমি পেশাদারিত্বের সঙ্গে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। আমি আশা করব যারা পরবর্তী অধিনায়ককে নিয়ে ভাববে তারাও যেন যে পেশাদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছে সেটা যেন ধরে রাখে। তাকে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তারপর যেন ২০২৩ এর চিন্তা করা হয়।’
Comments