মাশরাফির নেতৃত্বের বিদায়ে থাকলেন সাকিবও
প্রায় দেড় যুগ একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন দুজনে। একসঙ্গে তাদের কতশত স্মৃতি। কোনোটা তীব্র আনন্দের, কোনোটা ভীষণ দুঃখের। নেতৃত্ব ছাড়ার ম্যাচে অবশ্য দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা সাকিব আল হাসানকে পাশে পাননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে মনে পড়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়কের। ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে স্মরণীয় পথচলায় ভূমিকা রাখায় ধন্যবাদ প্রাপ্য তার সব সতীর্থের। আলাদা করে তিনি বলেছেন সাকিবের কথা।
জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব। সেকারণে সব রকমের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে বাইরে থাকতে হচ্ছে তাকে। এমনকি তার ক্রিকেট মাঠে প্রবেশেও রয়েছে বিধিনিষেধ। তাই অধিনায়ক মাশরাফির বিদায় বেলায় উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। আর এতে কিছুটা হলেও খারাপ লাগা কাজ করেছে মাশরাফির অন্তরে।
আগের দিন ৩৬ বছর বয়সী মাশরাফি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে একটি আবেগঘন বার্তা দেন সাকিব। সেখানে তিনি লেখেন, মাশরাফি সত্যিকারের নেতা ও যোদ্ধা।দুই দফায় মোট ৮৮ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচে ৫০তম জয়ের অনন্য মাইলফলক গড়ার পর মাশরাফি বলেছেন, 'এটা অনেক বড় সম্মানের। ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। তারা দলের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে। আমি দলের সব ছেলেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে সাকিবকে। সে যদি এখানে থাকত, তাহলে বিষয়টা অন্যরকম হতো। সবাইকে ধন্যবাদ।'
শুক্রবার (৬ মার্চ) নেতৃত্বের বিদায়ী ম্যাচে সতীর্থদের কাছ থেকে জয় উপহার পান মাশরাফি। তার গৌরবময় অধ্যায়ের শেষ দিনে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে সিলেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩২২ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপর ডাকওয়ার্থ ও লুইস জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৩৪২ রান। এই পাহাড়সম লক্ষ্যের পেছনে ছুটে তারা থামে ২১৮ রানে। ১২৩ রানের বিশাল জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
Comments