ডাবল সেঞ্চুরির করার কথা একবারও ভাবেননি লিটন
লিটন দাস যখন আউট হন, তখনও ১৩টি বল বাকী ছিল বাংলাদেশের। যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন লিটন তাতে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে ডাবল সেঞ্চুরিটা হয়তো হয়ে যেত। তার আউটের পর তাই আফসোস করেছেন ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু করেননি লিটন। কারণ ডাবল সেঞ্চুরির কথা চিন্তাও করেননি এ বিধ্বংসী এ ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের দিন বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে ১৪৩ বলে ১৭৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। যা বাংলাদেশী কোন ব্যাটসম্যানের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আগের ম্যাচেই গড়া তামিমের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। ভাগ্য সহায় থাকলে হয়তো ওয়ানডেতে দেশের হয়ে প্রথম ডাবলের দেখাও পেতে পারতেন।
তবে লিটন কেবল নিজের ব্যাটিংটাই উপভোগ করেছেন। ডাবলের কথা চিন্তাও করেননি, 'দুইশর কথা কখনও আমার চিন্তাতেই ছিল না। আগের ম্যাচেও যেটা বলেছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল যদি থিতু হতে পারি তাহলে ৩০ ওভার ব্যাটিং করব। ওই পরিকল্পনাই ব্যাটিংয়ে ছিল… (বৃষ্টির পর) আমাকে শট খেলতে হয়েছে। সফল হয়েছি বলে (ডাবল সেঞ্চুরির) একটা সম্ভাবনা জেগেছিল।'
আগের দিন বৃষ্টির আগেই সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। বৃষ্টিতে ওভার কমিয়ে দেওয়ায় নেমেই শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তিনি। যা করছিলেন তাই যেন হচ্ছিল। ১১৮ বলে সেঞ্চুরি করার পর দেড়শ করতে এরপর আর ২১ বল খেলেন। পরের ৭ বলে আসে ২৫ রান। টানা দুই ছক্কা মারার পরের বলে আউট হন।
তিন ম্যাচের সিরিজে দুইটি সেঞ্চুরি করেছেন লিটন। অথচ পুরো ক্যারিয়ারে মোটে তিনটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেকের পর এমন ধারাবাহিকতা দেখা যায় তার। সামনে আরও ভালো কিছু করার প্রত্যয় ঝরে তার কণ্ঠে, 'ঘরোয়া ক্রিকেটে সব সময় পারফর্ম করছি। করি যে নাই, এমন না, করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে পারিনি, হয়তো কিছু সমস্যা ছিল। হয়তো খেলার ধরন একটু ভিন্ন ছিল। আমি ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করছি। আমি যদি এভাবে এগোতে পারি সামনে হয়তো ভালো কিছু দিতে পারব।'
তবে সাম্প্রতিক সময়ের দারুণ ছন্দে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে লিটনের। ৩০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারলে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারবেন বলে মনে করেন এ ওপেনার, 'আমি লিটন একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারলে সেঞ্চুরি করতে পারব। ওই বিশ্বাসটা এখন এসেছে। আজ যে ইনিংস খেলেছি, এটা আমার সেরা কিছু ইনিংসের মধ্যে পড়বে।'
Comments