পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ কৃষকের, বাধা বীজের অপ্রতুলতা

Onion_Natore_7Mar2020
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল গ্রামে পেঁয়াজের বীজ বুনছেন কৃষকরা। ছবি: স্টার

চাহিদা ও দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন নাটোরের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫০ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর নাটোর জেলায় ৪ হাজার ৫ শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে।

গত মৌসুমে ৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে।

নাটোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত সরকার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ বছর ৬৩ হাজার টন পেঁয়াজ কৃষকের ঘরে উঠবে। গত বছরে ছিল ৪৮ হাজার ৫৩ টন।’

তিনি বলেন, ‘উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। তবে বীজের অপ্রতুলতা রয়েছে। বছরের শুরুতে পেঁয়াজের বীজ সংকট দেখা না দিলে অন্তত আরও এক হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হতে পারতো।’

সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের কৃষক দুলাল ফকির বলেন, ‘আমি পেঁয়াজ চাষের জন্য পাঁচ বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। বীজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও ঘাটতি দেখা দেওয়ায় মাত্র এক বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয় বাজারে চড়া দামে পেঁয়াজের চারা বিক্রি করেছেন। যে কারণে প্রান্তিক কৃষক সমস্যায় পড়ছে।’

নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, প্রতিবছর তিনি ধান চাষ করেন। তবে এ বছর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।

লালপুর উপজেলার বারবড়িয়া গ্রামের কৃষক বাবু প্রামাণিক বলেন, ‘আমি আগে কখনো পেঁয়াজ চাষ করিনি। এ বছর আমি তিন বিঘা জমিতে আবাদ করছি। বিঘা প্রতি ৮০ মণ পেঁয়াজ হবে বলে আশা করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Govt to scale back foreign loan reliance

The government plans to scale back its dependence on foreign loans as it seeks to mitigate threats to external debt sustainability.

11h ago