মাহমুদউল্লাহর বিশ্বাস অর্জনের মিশন
ভারত সফর দিয়ে গেল নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর পাকিস্তান সফরে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনিই থাকবেন লাল-সবুজের নেতা। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও তার প্রতি আস্থার কথা জানিয়েছেন। তবে বিশ্ব আসরে অধিনায়কত্ব করার আগে নিজেকে এই পদে যোগ্য প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে মাহমুদউল্লাহর সামনে। লক্ষ্য পূরণে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বিশ্বাস অর্জন করতে চান তিনি।
আগামীকাল সোমবার (৯ মার্চ) দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও সফরকারী জিম্বাবুয়ে। তার আগের দিন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানালেন, সতীর্থরা যেন মাঠে স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারেন তা নিশ্চিত করতে চান তিনি। আর দল প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে, সেই বার্তাও সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে চান।
‘আমি সবসময় যে জিনিসটা বিশ্বাস করি, দলের খেলোয়াড়দের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। ওরা যেন আমাকে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বাস করতে পারে। আমি যেন অধিনায়ক হিসেবে স্বচ্ছ থাকতে পারি এবং সৎ থাকতে পারি খেলোয়াড়দের প্রতি। যারা এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবে, তাদের হয়তো এক-দুই ম্যাচ খারাপ যেতে পারে। তখন ওরা (দলে জায়গা নিয়ে) অনিরাপদ বোধ করতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে আমার এবং কোচের অনেক দায়িত্ব রয়েছে, তারা যেন নিরাপদ বোধ করে এবং স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারে। তো আমার কাছে এই পয়েন্টগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। আমি তাদেরকে এটা যেন বোঝাতে পারি যে, দল তাদের কাছ থেকে কী চায়।’
মাঠে অধিনায়কের অনেক প্রভাব থাকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও অনেক বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হয়। টাইগার জার্সিতে লম্বা সময় কাটিয়ে ফেলা মাহমুদউল্লাহরও তা অজানা নয়। তাই সতীর্থদের সমর্থন যুগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দলের কর্তৃত্বের ভারও বহন করতে চান এই অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
‘আমার মনে হয় যে-ই অধিনায়ক হোক না কেন, যখনই সে দায়িত্ব পাবে, তখন তার কর্তৃত্ব নেওয়া উচিত। আমি যেটা আগেই বললাম, বিশ্বাসটা বাড়ানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ যেন খেলোয়াড়রা অনুভব করতে পারে যে, তার প্রতি অধিনায়কের, কোচের এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সমর্থনটা আছে। এটা হলে খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা থাকে থাকে যে, ভালো পারফর্ম করতে হবে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।’
Comments