আসামি যেন অনুকম্পা না পায়, বাবার আকুতি

রায়ে সায়মার পরিবার সন্তুষ্ট
Saima
নিহত শিশু সামিয়া আফরিন সায়মা। ছবি: সংগৃহীত

‘হারুন আমার ছয় বছরের নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেছে। তার সঙ্গে সে যে ধরনের পাশবিক আচরণ করেছে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে যদি আরও কোনো কঠিন ও ভয়াবহ শাস্তি থাকতো সেটাও তার জন্য কম হতো।’

পুরান ঢাকার ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় দ্য ডেইলি স্টারকে একথা বলেন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় ঘোষণা ও আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া তারা খুশি।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আজ সোমবার এ মামলায় একমাত্র আসামি হারুন অর রশীদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

‘মেয়েটি আমার বড় আদরের... আমরা সন্তুষ্ট, আমরা এখন চাই রায় ঘোষণার মত দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন,’ বলেন নিহত সায়মার বাবা সালাম।

তিনি আরও জানান, তিনি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ‘আদালত বলেছেন আসামি যে পাশবিক আচরণ করেছে এজন্য সে অনুকম্পা পেতে পারে না। আমরাও চাই সে যেন কোনো ধরনের অনুকম্পা না পায়, যত শীঘ্র সম্ভব তার ফাঁসি চাই।’

‘বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা দেখেছি। নিজের সন্তানের সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটবে তা কখনো চিন্তাও করতে পারি নাই,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি সবাইকে নিজেদের সন্তান বিশেষ করে ছোট মেয়েদের নিরাপত্তার প্রতি নজর দেওয়ার আহবান জানান।

সালাম মনে করেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে একটি বার্তা যাবে শিশুদের সঙ্গে পাশবিক আচরণ করলে তার কোনো রেহাই নেই।’

২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদের ভবনের একটি ছাদে তার লাশ পায়। তার গলায় রশি পেঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল।

দুই দিন পর সায়মা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে কুমিল্লার তিতাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

পরদিন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় হারুন।

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

9h ago