মোবাইল অপারেটর ও নিয়ন্ত্রকদের দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক

ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মোবাইল অপারেটর ও নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে চলা দ্বন্দ্বে মোবাইল শিল্পে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গতকাল সোমবার দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক সংবাদ অনুযায়ী, মোবাইল শিল্পে সামগ্রিক বিনিয়োগ ১৯ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে মোট বিনিয়োগ নেমে এসেছে তিন হাজার ৬৯৫ কোটি ৭২ লাখ টাকায়। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। মোবাইল অপারেটরগুলোর বিনিয়োগের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও টাওয়ার তৈরিতে। যাতে তারা বেশি জায়গায় উন্নত সেবা দিতে পারে। পাশাপাশি নিয়মিত টাওয়ারের মান উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার কাজেও তারা অর্থ ব্যয় করে। বিনিয়োগ কমার ফলে এসব খাতে ব্যয় কমছে। প্রভাবিত হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবার মান। যার চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে গ্রাহকরা নিম্নমানের সেবা পাচ্ছেন।

নতুন লাইসেন্স ব্যবস্থায় কেবলমাত্র মনোনীত প্রতিষ্ঠানই মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার বা অন্যান্য অবকাঠামো বানাতে পারবে। এই খাতে মোবাইল অপারেটরদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। টাওয়ার তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো কাজ শুরু করতে না পারায় মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে পারেনি। এটাও সেবার মানকে প্রভাবিত করেছে। গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটা অত্যন্ত অন্যায়। এই শিল্পকে সমস্যায় ফেলার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অবদান না থাকার পরও গ্রাহকরা কেন অপারেটরদের কাছে নিম্নমানের সেবা পাবেন?

অপারেটর এবং নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে একটি চুক্তি হলে সেটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এতে গ্রাহকরা ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অন্যতম দায়িত্ব হলো গ্রাহকরা তাদের অর্থের বিনিময়ে যেন মানসম্মত সেবা পান তা নিশ্চিত করা। তাই বিনিয়োগ ও সেবার মান বাধাগ্রস্ত করে এমন সমস্যা সমাধানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

3h ago