ডর্টমুন্ডকে বিদায় করে কোয়ার্টারে পিএসজি
বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ থেকে প্রথম লেগের ম্যাচে হেরে ফিরেছে তারা। ফিরতি লেগের ম্যাচ ঘরের মাঠে হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে নেই দর্শক। তার উপর দলের সেরা বেশ কিছু তারকাই নেই ইনজুরিতে। নিজেদের মাঠে বেশ কোণঠাসাই ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। দেওয়ালে পিঠ থেকা দলটি দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে হারিয়ে দিয়েছে ডর্টমুন্ডকে। কেটেছে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট।
নিজেদের মাঠে বুধবার রাতে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারায় পিএসজি। প্রথম লেগে ১-২ গোলে হেরেছিল তারা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে প্যারিসের দলটি।
এদিন সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা দলের অন্যতম সেরা তারকা কিলিয়েন এমবাপেকে শুরু থেকে পায়নি পিএসজি। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণেই ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। নেইমার ও হুয়ান বেরনাতের গোল প্রথমার্ধেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ জমাট রেখে লিড ধরে রাখে তারা। তাতেই মিলে যায় কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট।
তবে গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল ডর্টমুন্ডই। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে সতীর্থের ডি-বক্সে রাখা ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতেন এরলিং হ্যালান্ড। ১৯তম মিনিটে জর্ডান সাঞ্চোর ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ২৫তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন পিএসজির এদিসন কাভানি। আনহেল দি মারিয়া পাসে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন এ উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। তার শট বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে গেলে সে যাত্রা বেঁচে যায় ডর্টমুন্ড।
সে সুযোগ কাজে না লাগাতে পারলেও এগিয়ে যেতে খুব বেশিক্ষণ সময় নেয়নি পিএসজি। তিন মিনিট পর আনহেল দি মারিয়ার নেওয়া কর্নার কিক থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার।
৩৫তম মিনিটে সাঞ্চোর নেওয়া ফ্রিকিক ধরতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি গোলরক্ষক পিএসজি কেইলর নাভাসের। তিন মিনিট পর আরও একটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন সাঞ্চো। কিন্তু তার নেওয়া কোণাকোণি শট ফিরিয়ে দেন নাভাস। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের। থরগান হ্যাজার্ডের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। দি মারিয়া বাড়ানো বল পেয়ে কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন পাবলো সারাবিয়া। শেষমুহূর্তে হুয়ান বেরনাতের আলতো টোকায় দিক বদলে দিলে ব্যবধান বাড়ায় পিএসজি।
৫৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো পিএসজি। দি মারিয়ার নেওয়া বাঁকানো ফ্রিকিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক রোমান বুর্কি। ৭৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভালো শট নিয়েছিলেন ডর্টমুন্ডের জুলিও ব্রান্ট। তবে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর ব্রান্টের আরও একটি দূরপাল্লার ভালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে নেইমারকে করা একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে দুই দল। তাতে বড় ধাক্কা খায় ডর্টমুন্ড। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এমরি চান। নেইমারকে ফাউল করায় প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন, পরে হাতাহাতির কারণে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। তবে তা থেকে কোন সুবিধা আদায় করে নিতে না পারলেও লিড ধরে রেখে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
Comments