করোনাভাইরাস আক্রান্তের তথ্য গোপন শাস্তিযোগ্য অপরাধ
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তথ্য গোপন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইন মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত যে কোনো এলাকা পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
যার অর্থ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী সংক্রমিত এলাকার জনগণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ, জনসমাবেশ বন্ধ এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে কোনো গাড়ির মালিককে যানবাহন জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কোরোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) কে মহামারি ঘোষণার একদিন পর এই বিজ্ঞপ্তি এলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রী ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের অনেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া কোয়ারেন্টাইনের শর্ত মানছেন না। অনেকেই মিথ্যা তথ্য ও গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের আইনানুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে আইন অমান্যকারী সর্বোচ্চ দুই মাসের কারাদণ্ড কিংবা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডেই দণ্ডিত হবেন।
সারা দেশে মাস্ক তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে পপলিনের কাপড় দিয়ে তিন স্তর বিশিষ্ট মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। একবার ব্যবহারের পর মাস্কটি সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ও শুকিয়ে আবার ব্যবহার করা যাবে।
ঢাকার ছয়টি হাসপাতালে ৪০০ শয্যা, চট্টগ্রামের দুটি হাসপাতালে ১৫০ শয্যা, সিলেটের দুটি হাসপাতালে ২০০ শয্যা, বরিশালের দুটি হাসপাতালে ৪০০ শয্যা এবং রংপুরের দুটি হাসপাতালে ২০০ শয্যা-- কোভিড-১৯ আক্রান্তদের আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে যেসব দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঘটেছে সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের কারো মধ্যে যদি কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা যায় তবে শুরুতেই আইইডিসিআর-এর হটলাইনে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
Comments