মানিকগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টাইনে প্রবাসীর সংখ্যা বেড়ে ১৬৯

গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে আরও ৬০ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৬৯ জন।

শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলেও বিদেশ ফেরত হওয়ার কারণে তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ।

তিনি বলেছেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১০ মার্চ থেকে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও তাদেরকে তাদের নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।’

‘জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মানুষদের সার্বিক সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রবাসীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।’

মানিকগঞ্জে গত ১০ মার্চ শনাক্ত হয় ৫৯ জন, ১১ মার্চ ২০ জন, ১২ মার্চ ৩০ জন এবং আজ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬০ জন প্রবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে।

গত চারদিনে জেলায় মোট ১৬৯ প্রবাসীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, করোনা প্রতিরোধে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১৬ বেডের আইসোলেশন ইউনিট ও মানিকগঞ্জ জেলা শহরের কেওয়ারজানি এলাকায় আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ১০০-শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

করোনা প্রতিরোধে গঠিত কমিটির সদস্যরা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, বিভিন্নস্থানে গিয়ে দেখা গেছে বিদেশ ফেরত ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীরা স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন। তারা বলছেন, তাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ না থাকায় তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করছেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিভাগ একা এই কাজ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সবাইকে এগিয়ে আসার আহবানও জানিয়েছেন তিনি।