১১৭ দিন আগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করেছিল চীন
বিশ্বের ১৩২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণকে সম্প্রতি মহামারি ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ থেকে ১১৭ দিন আগে অর্থাৎ গত বছরের ১৭ নভেম্বর চীনে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।
চীনের সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর এ ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ২৬৬ জন রোগী শনাক্ত করেছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যগত নজরদারির আওতায় আনা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, হুবেই প্রদেশের ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গত বছরের ১৭ নভেম্বর কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন।
সেই দিন থেকে প্রতিদিন এক থেকে পাঁচ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এরপর, গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংক্রমণের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ জনে। আর ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হন ৬০ জন।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনা চিকিৎসকরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, তারা একটি নতুন রোগকে মোকাবিলা করছেন।
হুবেই প্রাদেশিক হাসপাতালের চিকিৎসক ঝাং জিশিয়ান চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে গত ২৭ ডিসেম্বর জানিয়েছিলেন, নতুন এক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সেদিন পর্যন্ত ১৮০ জনেরও বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও তাদের সবার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকেরা অবগত ছিলেন না।
সন্দেহভাজন রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় যে, কয়েকজন বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
২০১৯ সালের শেষ দিন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬৬ জন। ২০২০ সালের প্রথম দিন তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৩৮১ জনে।
চীনের সরকারি এসব তথ্য এর আগে প্রকাশ করা হয়নি। রোগটি প্রথম দিকে কীভাবে ছড়ায় এবং এর সংক্রমণের গতি কেমন ছিল, সেই সঙ্গে দেশে কতজন আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেসব বিষয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে বেইজিং।
প্রথম শনাক্তের ১১৭ দিন পর আজ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৪ জন। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮০ জনে। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার ৪৩৭ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮১৪ জন, মারা গেছেন তিন হাজার ১৭৭ জন এবং চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬৪ হাজার ১১৮ জন।
Comments