ডিজিটাল সিটি সিলেট: ৬৫ জায়গায় মিলছে ফ্রি ওয়াইফাই
দেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি হিসেবে গড়ে উঠছে সিলেট। শহরের বাসিন্দাদের হাতের নাগালে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় দ্রুতগতির ওয়াইফাই সেবা চালু করা হয়েছে। বিনা খরচে যে কেউ এখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন।
‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে শহরের ৬৫টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১২৬টি ওয়াইফাই এক্সেস পয়েন্ট স্থাপনের কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। গত ১০ মার্চ ১০০টি ওয়াইফাই পয়েন্টে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের উপপরিচালক মধুসূদন চন্দ জানান, শহরের কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ সংযোগের কাজ চলায় ২৬টি পয়েন্টে এখনও সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। শিগগির এসব জায়গায় বিনা খচরে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
এই প্রকল্পের সবগুলো এক্সেস পয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। ইংরেজিতে ‘জয়বাংলা’ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে যে কেউ তার ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারবে সেখানে।
মধুসূদন চন্দ জানান, প্রতিটি এক্সেস পয়েন্ট থেকে কোনো ঝঞ্ঝাট ছাড়াই প্রায় ২০০টি ডিভাইস ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারবে।
৩০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ১১০টি আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানায় স্থাপন করা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এই ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি জানান, ১০টি ক্যামেরা ডেটাবেজে থাকা মানুষের চেহারা শনাক্ত করতে পারবে। এছাড়া সবগুলো ক্যামেরাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্ত করতে পারবে। শিগগিরই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে এর ব্যবস্থাপনা ছেড়ে দেওয়া হবে।
এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার জিদান আল মুসা বলেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থাটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ট্রাফিক, অপরাধী ও সন্দেহজনক যানবাহন শনাক্ত করার কাজ সহজ হবে এর মাধ্যমে।
প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে ১০ মার্চ সিলেটে যান তথ্য-ও-যোগাযোগ-প্রযুক্তি-বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হবে দেশের প্রথম ডিজিটাল হাসপাতাল। ৯০০ শয্যার এই হাসপাতালের রোগী ব্যবস্থাপনার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার কথা জানান তিনি।
Comments