ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে মুশফিকের সেঞ্চুরি

mushfiq
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিজে যেতে হয় মুশফিকুর রহিমকে। আবাহনী লিমিটেডের সংগ্রহ তখন কেবল ৬ রান। দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান সাজঘরে।

২২ গজে নেমে মুশফিক একপ্রান্তে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, অন্য প্রান্তে চলে উইকেট পতনের মিছিল। ৬৭ রানেই অর্ধেক উইকেট নেই। আসা-যাওয়াতেই দায়িত্ব শেষ নাজমুল হোসেন শান্ত, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও আফিফ হোসেনের।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নবাগত পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তখন অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক মুশফিক খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস, তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। অন্য সতীর্থরা না পারলেও মোসাদ্দেক হোসেন তাকে দেন যোগ্য সঙ্গ।

দলকে স্বস্তি দিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১৬০ রানের বিশাল এক জুটি গড়েন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মোসাদ্দেক। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বাদশ শতকের স্বাদ নিয়ে মুশফিক থামেন ১২৭ রানে। ১২৪ বলের ইনিংসে ১১ চার ও ৪ ছক্কা মারেন তিনি।

১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম আবাহনীর হয়ে খেলছেন মুশি। তার কাঁধে রয়েছে নেতৃত্বও। অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করে মুশফিক যেন বার্তা দিয়ে রাখলেন, তার কাছে দলের যে প্রত্যাশা, তা তিনি পূরণ করতে মুখিয়ে আছেন।

৭৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন মুশফিক, পরের ফিফটির দেখা পেতে খেলেন মাত্র ৩৬ বল। ১১১ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করে তিনি হয়ে ওঠেন আগ্রাসী। শেষ পর্যন্ত পেসার জয়নুল ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৩১ বছর বয়সী অভিজ্ঞ সেনানী।

চোট কাটিয়ে অনেকদিন পর মাঠে ফেরা মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৭৪ বলে ৬১ রান। ৪ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ইনিংসের শেষভাগে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই পেস অলরাউন্ডারের ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ছক্কাই ছিল ৫টি।

মুশফিক-মোসাদ্দেক-সাইফউদ্দিনের অবদানে রবিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে পারটেক্সকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আবাহনী। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জাতীয় তারকাদের নিয়ে গড়া দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

26m ago