কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুলের জামিন, জানে না পরিবার
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল ও জামিন আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ১১টার দিকে শুনানি শেষে ২৫ হাজার টাকা বন্ডে এবং একজন আইনজীবী ও প্রেসক্লাবের সভাপতির জিম্মায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা আরিফুল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে তিন জন ম্যাজিস্ট্রেটসহ টাক্সফোর্সের সদস্যরা জেলা সদরের ভকেশনাল মোড় (চরুয়াপাড়া) এলাকায় বাড়ি থেকে আরিফুলকে জোর করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মাদক মামলায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে জামিন আবেদন ও মঞ্জুরের ব্যাপারে কিছুই জানেন না সাংবাদিকের পরিবার। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন আরিফুলের স্ত্রী মনসারিনা মিতু।
তিনি বলেন, ‘আমি বা আমাদের পরিবারের কেউই জামিনের জন্য কোনো আইনজীবীর কাছে যাইনি।’
জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব নীলুর আবেদনে তিনি জামিন শুনানিতে অংশ নেন। আর ২৫ হাজার টাকা বন্ডে প্রেসক্লাবের সভাপতির জিম্মায় আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।’
তবে আহসান হাবিব নীলু জানিয়েছেন, আরিফুলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে তিনি এ দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন’র কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
আরিফুল হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে জেলা কারাগার থেকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সকালে পরিবারের সদস্যরা জেল পুলিশের পাহারায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় আরিফুলকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অর্থপেডিকস’র সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘সাংবাদিক আরিফুল এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
Comments