ইতালির একই ক্লাবের সাত ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। দেশটির ক্রীড়াঙ্গনেও প্রাণঘাতী ভাইরাসটির ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। ইতালিয়ান সিরি আ’র অন্যতম ক্লাব সাম্পদোরিয়ার করোনায় আক্রান্ত ফুটবলারের সংখ্যা বেড়ে সাতে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল শনিবার স্প্যানিশ ক্রীড়া বিষয়ক গণমাধ্যম মার্কা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্পদোরিয়ার আরও দুই ফুটবলার কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন ইতালির মিডফিল্ডার ফাবিও দেপাওলি ও পোল্যান্ডের ডিফেন্ডার বার্তোশ বেরেজিনস্কি।
১৯৯০-৯১ মৌসুমে সিরি আ’র শিরোপা জেতা সাম্পদোরিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্যে তারকা ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড মানোলো গাব্বিয়াদিনির শরীরে সবার আগে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ক্লাবটির আরও চার খেলোয়াড় ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
গাম্বিয়ান ডিফেন্ডার ওমার কোলি, সুইডিশ মিডফিল্ডার আলবিন একদাল, নরওয়েজিয়ান মিডফিল্ডার মর্টেন থর্সবি ও ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড আন্তোনিও লা গুমিনার পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন সাম্পদোরিয়ার ক্লাবটির চিকিৎসক আমেদেও বালদারিও।
ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর মধ্যে সাম্পদোরিয়াতে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। আরেক জনপ্রিয় ক্লাব ফিওরেন্তিনার আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার জার্মান পেজ্জেয়া ও ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড প্যাত্রিক কুত্রোনেও আক্রান্ত হয়েছে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে।
গেল বুধবার সিরি আ’র প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জুভেন্টাস ডিফেন্ডার দানিয়েল রুগানির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ জানা যায়। এরপর দলের সবাইকে আলাদা করে রাখার জন্য আইন অনুসারে প্রক্রিয়া শুরু করে ক্লাবটি। তাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়-ম্যানেজার-অন্যান্য স্টাফসহ মোট ১২১ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। জুভেন্টাসের প্রাণভোমরা পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো জন্মস্থান মাদেইরাতে স্বেচ্ছায় নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন।
তার আগেই অবশ্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইতালিতে শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতা সিরি আ’সহ সব ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত করা হয়। গেল ৯ মার্চ ইতালির জাতীয় অলিম্পিক কমিটি (সিওএনআই) আপাতত সব খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা অনুমোদন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ্পে কন্তে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদ অনুসারে, করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ১৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪৪১ জনে পৌঁছেছে।
Comments