৬ বছর ধরে অচল সুনামগঞ্জের সরকারি হাসপাতাল!
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/editorial_1_175.jpg?itok=IqjabBiy×tamp=1584278808)
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার। তবে প্রায়ই দেখা যায়, চিকিৎসকসহ জনবল ঘাটতিতে অনেক হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছে না।
গতকাল (১৪ মার্চ) দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার প্রত্যন্ত জগদল ইউনিয়নের ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল ছয় বছর ধরে অচল পরে আছে। কারণ এই হাসপাতালটি চালু করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগে এখনও অনুমোদন পায়নি। স্থানীয় আইন প্রণেতার মতে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে হাসপাতালে জনবল অনুমোদন পেতে দেরি হচ্ছে। এরইমধ্যে হাসপাতাল চত্বর মাদকাসক্ত ও জুয়াড়িদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে। হাসপাতালের চারপাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।
সারাদেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বেড়েছে। তবে চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি থাকায় সেবার মান উন্নত হয়নি। আমাদের সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হতাশাজনক চিত্র কয়েক বছর ধরেই দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ হেলথ ফ্যাসিলিটি সার্ভে (বিএফএইচএস)-২০১৭ তথ্য অনুযায়ী, দেশে স্বাস্থ্য সুবিধার মাত্র ২৮ শতাংশে থার্মোমিটার, স্টেথোস্কোপস, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, ওজন মাপার যন্ত্র ও টর্চলাইটের মতো ছয়টি মৌলিক সরঞ্জাম আছে। সেই সঙ্গে আছে সুনামগঞ্জের মতো হাসপাতাল, যা কোনো কাজেই আসে না।
পানিঘেরা প্রত্যন্ত দিরাই উপজেলার বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য নিকটতম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া কষ্টকর। জরুরি অবস্থায় যা আরও বিপদজনক হয়ে ওঠে। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে গ্রাম থেকে হাসপাতালে যেতে দীর্ঘ সময় লাগে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি হাসপাতালটি চালু করা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সংসদ সদস্যের উল্লিখিত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া উচিত। এটি চালু হলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখান থেকে সেবা পাবেন।
Comments