‘আমরা খেলতে চাই’
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে শুরুর পরই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ দলগুলো। পরিস্থিতির কারণে নেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তারা দ্রুতই ফিরতে চান খেলায়। ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, খেলার মাঠেই বরং খেলোয়াড়রা নিরাপদ। খেলায় ফিরতেই তাই উদগ্রীব ক্রিকেটাররা।
বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের পাদুর্ভাবের কারণে সোমবার প্রথম রাউন্ডের পরই বন্ধ করা দেওয়া হয় প্রিমিয়ার লিগ। বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব খেলাও।
মঙ্গলবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দলবল নিয়ে মিরপুরে আসে আবাহনী। বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামালের প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটির ক্রিকেটাররা কেক কেটে পালন করেন স্বাধীনতার স্থপতির জন্মদিন।
এই সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে আবাহনী কোচ সুজন খেলায় ফিরতে নিজেদের আঙ্খাকার কথা জানান, ‘কাল (বুধবার) আমাদের খেলা ছিল। সেটা হবে না। আমরা খেলতে চাই। ছেলেদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সবাই খেলতে চায়। জানি যে করোনার একটা বিপদ আছে। এখানে একাডেমিতে আমরা যতটুকু নিরাপদ, বাইরে ছেলেরা যখন যাবে ওরা তত নিরাপদ না।’
আরেকটি কারণে খেলোয়াড়দের উদ্বেগের খবর জানান সাবেক ক্রিকেটার সুজন। সামনে রমজান মাস ও আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা মিলিয়ে চিন্তিত খেলোয়াড়রা, ‘প্রিমিয়ার লিগ যদি বন্ধ হয়ে যায়, আর যদি শুরু না করা যায়, স্বাভাবিকভাবেই সামনে রোজার মাস। তখন ঠিক মতো শেষ করতে পারে কিনা এই ব্যাপারও থাকবে। তারপরেও এটা যেহেতু সরকারের সিদ্ধান্ত, এটাকে প্রাধান্য দিতেই হবে। যত তাড়াতাড়ি মাঠে যাওয়া যায় ভালো হবে। ছেলেরা খেলতে চায়।’
খেলা স্থগিত হয়ে গেলেও খেলোয়াড়দের ছুটি দিচ্ছেন না আবাহনী কোচ। খেলোয়াড়দের ধরে রাখার পেছনেও কাজ করছে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার ভাবনা, ‘আমি ছেলেদের এখান থেকে ছাড়তে চাই না। কেননা যখনই ওদের ছাড়ব ওরা ওদের দেশের বাড়িতে যেতে চাইবে। গণপরিবহন ব্যবহার করবে। সেটা কতোটা সুরক্ষিত? আপনি তো সবাইকে চেনেনও না। কেউ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে তো খারাপই হবে ওদের জন্য। আমরা চাই ওদের এখানে রাখতে। দেখা যাক, বোর্ড থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে। কখন খেলা শুরু হয় দেখতে হবে। আর খেলা শুরু না হলে ওদের প্রতি বার্তা থাকবে গণপরিবহন যত এড়িয়ে যাবে ততই ভালো।’
ক্রিকেট মাঠে ভিড় থেকে আলাদা থাকা যায়, এই হিসেবে মাঠে থাকাটা নিরাপদ মনে করেন সুজন, সামনের বৃষ্টির মৌসুমের কথা ভেবে তিনি আশায় আছেন দ্রুতই এই অচলাবস্থা কেটে যাবে, ‘এখানে কিন্তু আমরা অনেক নিরাপদ আছি এখন পর্যন্ত। আমরা তো মাঠের মানুষ, আমরা চাই খেলা হোক। এটা খেলার মৌসুম । পরে তো বৃষ্টি হবে। কষ্ট হবে খেলতে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর করোনাভাইরাসের যে ভয়াবহতা চলছে, সেটা থেকে সবাই মুক্তি পাবে, এটাই আশা করছি। সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে, খেলা মাঠে ফিরবে এটাই আশা করি।’
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও বিসিবি প্রিমিয়ার লিগের কেবল দ্বিতীয় রাউন্ড আপাতত বন্ধ রেখেছে। ১৮ ও ১৯ তারিখের নির্ধারিত খেলা স্থগিত করে বিসিবি জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সরকারের নির্দেশ মেনে চলবে তারা।
Comments