দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা, ধর্মীয় জমায়েতকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/mosque.jpg?itok=lEJLlXQq×tamp=1584547658)
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড-১৯। ইন্দোনেশিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯, আক্রান্তের সংখ্যা ২২৭।
রয়টার্স জানায়, মালেশিয়ায় হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের যেন ঢল নেমেছে। দুসপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে বর্তমানে ১ হাজার ৮৫০ এ দাঁড়িয়েছে। চলাচলে সর্তকতা না মানা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
একইভাবে, ফিলিপাইনেও আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ২২৭ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে দেশটি থেকে। মারা গেছেন ১৭ জন।
মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম কারণ হিসেবে মসজিদে জমায়েতের কথা বলা হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, মালেশিয়ার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সংক্রমণের কারণ হিসেবে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত একটি মসজিদে জনসমাগমকে দায়ী করা হচ্ছে। কুয়ালালামপুরে ওই মসজিদে আয়োজিত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা জমায়েত হয়েছিলেন।
গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ার একটি মসজিদে একইরকম একটি ধর্মীয় আয়োজনে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কার পরও লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে মুসল্লিদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ সব ধরনের ইবাদত আপাতত বাড়িতে করার নির্দেশ দিয়েছে মালেশিয়া কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চলাচল সীমিত এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পবিত্র কাবা শরীফ ও মসজিদে নববি ছাড়া অন্য সব মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া বন্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। বাড়িতে নামাজ পড়ার আহবান জানিয়েছে কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি।
Comments