উত্তরখানে পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর উত্তরখানে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নিহত মনিরুজ্জামান (৫০) এলাকায় একটি বাড়ির মালিক বলে জানা গেছে।
রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর উত্তরখানে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নিহত মনিরুজ্জামান (৫০) এলাকায় একটি বাড়ির মালিক বলে জানা গেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, একটি অভিযোগ পাওয়ার পর ওই ব্যক্তির বাড়িতে গেলে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।

তিনি বলেন, কয়েকজনকে ওই ব্যক্তির বাড়িতে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে তারা ওই বাসায় যান।

এসময় পুলিশ দেখে মনিরুজ্জামান দৌঁড়ে ছাদে যান এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন, বলেন তিনি।

হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, মনিরুজ্জামানকে পুলিশ পেটায়নি এবং তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্নও নেই। তিনি হয়ত স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

ওই বাড়ি থেকে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই মিলন হাওলাদার অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের একটি চারতলা বাড়ি আছে। গতকাল শুক্রবার সেখানকার এক ভাড়াটিয়ার ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশি একজনের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় এক যুবক এসে কনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে জানিয়ে বিয়ে করার দাবি করেন।

মিলন বলেন, তার ভাই কনের পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারা ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। এসময় বরপক্ষ বিয়ে আয়োজন বাবদ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পরে ওই যুবক ও তার বোন ১ লাখ টাকা দিতে রাজী হন।

পরদিন বিয়ে থাকায় মনিরুজ্জামানের বাড়িতেই থেকে যান ওই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা।

আজ সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশের একটি দল বাড়িতে এসে মনিরুজ্জামানকে ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। মিলন বলেন, এসময় ছাদের দরজা আটকে তার ভাইকে পেটায় পুলিশ এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায়।

মনিরুজ্জামানকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago