করোনা প্রতিরোধে দড়ি পদ্ধতি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাজধানীর নবাবপুরে ইব্রাহিম ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে কয়েকজন ব্যবসায়ী দড়ি বেঁধে দিয়েছেন দোকানের সামনে। যাতে ক্রেতারা তাদের খুব কাছাকাছি চলে আসতে না পারেন।
ইব্রাহিম ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে একটি দোকানের সামনের অংশে দড়ি বাঁধা। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাজধানীর নবাবপুরে ইব্রাহিম ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে কয়েকজন ব্যবসায়ী দড়ি বেঁধে দিয়েছেন দোকানের সামনে। যাতে ক্রেতারা তাদের খুব কাছাকাছি চলে আসতে না পারেন।

ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতারা দোকানের ভেতরে দাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পণ্য কিনে থাকেন। এটাই সব দোকানের সাধারণ পদ্ধতি। কিন্তু, এতে করে ক্রেতা ও বিক্রেতা বেশ কাছাকাছি চলে আসেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হক ইলেকট্রনিক্সের প্রোপাইটর মির্জা এনামুল হক সাগর নিয়েছেন এমন উদ্যোগ। তিনি তার দোকানের সামনের অংশে একটি দড়ি বেঁধে দিয়েছেন, যাতে করে কেউ ভিতরে আসতে না পারে। ক্রেতারা কোনো পণ্য চাইলে তা দূরে দাঁড়িয়েই দেখাচ্ছেন এবং বিক্রি করছেন।

ফেনী ইলেকট্রিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যার যার অবস্থান থেকে যতটা সম্ভব সচেতন থাকা দরকার। সেই চিন্তা থেকেই ক্রেতাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে এই কাজটি করেছি। আমাকে দেখে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিজ উদ্যোগে আরও কিছু কাজ করছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি একটা হ্যান্ড মাইক নিয়ে দোকানগুলোতে প্রচারণা চালাব। কেউ যেন সেখানে সেখানে থু থু না ফেলে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় যেন রোমাল বা টিস্যু ব্যবহার করে এবং গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করে।’

মার্কেট ঘুরে দেখা যায় এরই মধ্যে অনেক দোকানের মালিক ও কর্মচারী গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করছেন।

Comments