সহসাই করোনামুক্ত হবে না ইউরোপ, দুই বছরের শঙ্কা

ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশ এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং তা মহামারী আকারেই ছড়িয়েছে। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। স্পেনেও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার। ফ্রান্স ও জামার্নির অবস্থাও একই।
ইতালির লুনা পার্ক এলাকার সাম্প্রতিক দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশ এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং তা মহামারী আকারেই ছড়িয়েছে। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। স্পেনেও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার। ফ্রান্স ও জামার্নির ও পর্তুগালের অবস্থাও একই।

ইউরোপকে কমপক্ষে আরও দুই বছর এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের বিশেষজ্ঞ ঝাং ওয়েনহং।

গতকাল ২২ মার্চ সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। 

ঝাং চীনের কোভিড-১৯ ক্লিনিকাল বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান। জার্মানির চীনা কনস্যুলেটে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।

ঝাং ওয়েনহং বলেন, ‘ভাইরাস আসবে, আবারও চলেও যাবে। তবে, ইউরোপ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে দুই বছরের বেশি সময় লাগতে পারে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কম সময়ে এর সমাধান করতে হলে চীনের মতো অনেক কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চীন নববর্ষের ছুটি বাড়িয়ে শহরগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই বন্ধ ছিল চীনে।’ 

তিনি বলেন, ‘যদি সারা বিশ্বকে চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা সম্ভব হয়, তাহলে এই মহামারী বন্ধ করা যাবে। কিন্তু, সারাবিশ্ব বন্ধ রাখার বিষয়টি আমি কল্পনাও করতে পারি না। এমনকি জার্মানি বা ইউরোপও নয়।’ 

ঝাং ওয়েনহং জানান, উত্তর ইতালির মতো ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো ইতোমধ্যে লকডাউন, কারফিউ এবং স্কুল বন্ধের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, বিশ্বব্যাপী একযোগে উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে যেসব দেশ এখন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে তাদের আবারও সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ‘অনেক দেশের সরকার এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা ভালো একটি লক্ষণ। যখন সবাই একসঙ্গে আরও জোরদার উদ্যোগ নিবে, তখন এই মহামারীও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’  

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago