করোনাভাইরাস: অলিম্পিকে না যাওয়ার ঘোষণা কানাডার

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ থেকে নিজেদের অ্যাথলেটদের প্রত্যাহার করেছে তারা। এতে নির্ধারিত সূচিতে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে শঙ্কা আরও বেড়েছে।
tokyo olympics
ছবি: টুইটার

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ থেকে নিজেদের অ্যাথলেটদের প্রত্যাহার করেছে তারা। এতে নির্ধারিত সূচিতে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে শঙ্কা আরও বেড়েছে।

আজ সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকার, বিভিন্ন ক্রীড়া দল ও অ্যাথলেটদের পরামর্শ নিয়ে এই ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে কানাডার অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিক কমিটি। পাশাপাশি টোকিও অলিম্পিক এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার দাবিও করেছে দেশটি।

করোনাভাইরাস মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও কদিন আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, পরিকল্পনা অনুসারে ঠিক সময়েই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত টোকিও শহরে অলিম্পিক আয়োজনের সূচি রয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা অনুসারে পাল্টাতে শুরু করেছে ভাবনা। এদিনই প্রথমবারের মতো আবে স্বীকার করেছেন যে, টোকিও অলিম্পিক স্থগিত করা হতে পারে। তবে আসর বাতিলের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘যদি (অলিম্পিক) পুরোপুরিভাবে আয়োজন করা কঠিন হয়, তবে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া অপরিহার্য হবে কারণ আমরা মনে করি, অ্যাথলেটদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

আবের বক্তব্যের পরপরই টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজ দেশের অ্যাথলেটদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। এদিকে, অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে ‘পরিষ্কার’ যে, নির্ধারিত সূচিতে আসর মাঠে গড়াবে না। এমনকি অ্যাথলেটদের আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতেও বলেছে তারা।

উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আসর স্থগিতের চাপ ক্রমশ জোরালো হতে থাকায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও (আইওসি) নড়েচড়ে বসেছে। গতকাল রোববার সংস্থাটির সভাপতি টমাস বাখ বলেছেন, টোকিও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী চার সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন তারা। অলিম্পিক নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে, না-কি পিছিয়ে যাবে, তা জানা যাবে এরপরই।

শান্তিকালীন সময়ে কখনও অলিম্পিক স্থগিত বা বাতিল করা হয়নি। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য যে আসরটি স্থগিত হয়েছিল, তা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল টোকিওতে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই ব্যাপকহারে বাড়ছে। এ পর্যন্ত, সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭০৩ জনে পৌঁছেছে। জাপানেও কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে, মারা গেছে ৪১ জন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago