দেশ প্রায় লকডাউনে

lockdown.jpg
রাজধানীর মহাখালী মোড় প্রায় ফাঁকা। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে মানুষের চলাচল সীমিত করতে ট্রেন, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে সরকার। আগামীকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস ও সিএনজির মত বাণিজ্যিক পরিবহনও বন্ধ থাকবে। দেশে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও এসব ব্যবস্থা লকডাউনের মতোই।

মালবাহী ট্রেন, কার্গো, ট্রাক, লরি যথারীতি চলবে পণ্য, ওষুধ, জ্বালানী এবং পচনশীল দ্রব্য পরিবহন করতে।

দেশের সরকারি এবং বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করার একদিন পর যানবাহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত এলো।

গত সোমবার বিকেলে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অফিস ছুটি ও গণপরিবহন সীমিত করাসহ একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি আরও জানান, গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেনাবাহিনী সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবং অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করা শুরু করবে।

একই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কাইকাউস বলেছেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষের গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা চিন্তা করেই সরকার গণপরিবহন বন্ধ করবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘সেবাগুলো পুরোপুরি বন্ধ হবে না।’

এই ঘোষণার পরেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ঘরমুখো বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় করে রাজধানীর বাস টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। একই পরিস্থিতি চট্টগ্রামেও।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নোটিশ দিতে হয়েছিল। সেখানে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থানে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাইরাসটির বিস্তার রোধে এই সময়ের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই তাদের গ্রামে যাচ্ছেন বা বিভিন্ন উৎসবে অংশ নিচ্ছেন সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে।

গতকাল শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী রুটে ফেরি টার্মিনালে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় করেছিল। মানুষের ভিড়ে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছিল ফেরিতে যানবাহন না তুলে শুধুই যাত্রী উঠাতে।

এমন পরিস্থিতির কারণেই, সব ধরনের যাত্রী পরিবহন সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আসে গতকাল মঙ্গলবার।

গতকাল সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগসহ সমস্ত আদালত ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিস্তার বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

লকডাউন করে রাখা হয়েছে বান্দরবানের তিনটি উপজেলা। জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম হোসেন জানান, বান্দরবনের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি গতকাল রাত ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন থাকবে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Closer to lockdown এই লিংকে

Comments

The Daily Star  | English

JnU students, teachers call off protest after assurances

All the activities of the university will resume from tomorrow

5h ago