দেখে নিতে পারেন মুক্তিযুদ্ধের ১০ সিনেমা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু চলচ্চিত্র। স্বাধীনতা দিবসে করোনা সচেতনতায় ঘরে থাকা সময় দেখে নিতে পারেন মুক্তিযুদ্ধের দশটি চলচ্চিত্র।

ওরা ১১ জন

এটিই মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম ও সবচেয়ে সাড়া জাগানো ছবি। প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭২ সালে ছবিটি নির্মাণ করেন। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, খসরু, সৈয়দ হাসান ইমাম ও খলিলউল্লাহ খানসহ অনেকে।

আলোর মিছিল

১৯৭৪ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘আলোর মিছিল’ মুক্তি পায়। ছবিটির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, ববিতা, রাজ্জাক ও সুজাতা।

অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্ত। ছবির তিনটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা, উজ্জল ও আনোয়ার হোসেন। বিষয়গত দিক থেকে এই ছবিটিকে সে সময় একেবারেই অন্যরকম বলে মন্তব্য করেছিলেন বুদ্ধিজীবীরা।

হাঙ্গর নদী গ্রেনেড

প্রখ্যাত লেখক সেলিনা হোসেন রচিত মুক্তিযুদ্ধের গল্প ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ অবলম্বনে ১৯৯৭ সালে একই নামে ছবিটি নির্মাণ করেন চাষী নজরুল ইসলাম। একজন সন্তানহারা মায়ের গল্প নিয়েই ছবির গল্প। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়িকা সুচরিতা। এছাড়াও, ছবির বিভিন্ন চরিত্রে আরও সোহেল রানা, অরুনা বিশ্বাস, অন্তরা ও ইমরান অভিনয় করেন।

আগুনের পরশমণি

১৯৯৪ সালে এই ছবিটি নির্মাণ করেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। সরকারি অনুদানে তৈরি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই ছবিটি আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। এতে আরও অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, আবুল হায়াত, ডলি জহুর ও হুমায়ূনকন্যা শিলা আহমেদ।

মুক্তির গান

প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলা প্রামাণ্য চিত্র ‘মুক্তির গান’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। দক্ষিণ এশিয়া চলচ্চিত্র পুরস্কারে স্পেশাল মেনশন ও ২০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার পায় ‘মুক্তির গান’।

এখনো অনেক রাত

১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া মুক্তিযুদ্ধের এ ছবিটি পরিচালনা করেন খান আতাউর রহমান। এটিই তার পরিচালিত শেষ চলচ্চিত্র। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পরের সময়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, সুচরিতা, আলীরাজ, ববিতা ও পরিচালকের ছেলে কণ্ঠশিল্পী আগুন।

শ্যামল ছায়া

এটি মুক্তিযুদ্ধের ওপর পরিচালক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৩ সালে। ছবিতে মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রে দেখা গিয়েছিল প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে। আরও অভিনয় করেছেন রিয়াজ, মেহের আফরোজ শাওন, স্বাধীন খসরু, শিমুল, চ্যালেঞ্জার, ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজ ও তানিয়া আহমেদ।

জয়যাত্রা

জয়যাত্রা মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের কাহিনি অবলম্বনে এই ছবির সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেন তৌকীর আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন একদল মানুষের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, মৃত্যু ও বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প আছে এখানে। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, বিপাশা হায়াত, মাহফুজ আহমেদ, হুমায়ূন ফরীদি, তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত ও চাঁদনী।

গেরিলা

নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পায় ২০১১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত ছবিটিতে অভিনয় করেন শতাধিক শিল্পী। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস। আরও আছেন এটিএম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

5h ago