বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীনের ব্যাপারে ‘পক্ষপাতি’ বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Donald-Trump.jpg
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের ব্যাপারে ‘পক্ষপাতিত্ব’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

করোনাভাইরাস সংকটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) চীনের প্রতি ‘একটু বেশিই পক্ষপাতদুষ্ট’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের মানুষ এ কারণে সংস্থাটির প্রতি অসন্তুষ্ট, এটা অন্যায়।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ডাব্লিউএইচওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন দেশটির রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হলে একই অভিযোগ তোলেন তিনি।

বেশ কয়েকজন রিপাবলিক সদস্য ডাব্লিউএইচওর চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেস সদস্য মাইকেল ম্যাকল ডাব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুসের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বরাবরই তিনি চীনের প্রতি পক্ষপাতি।

মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য গ্রেগ স্টুবে টুইটে জানান, করোনাভাইরাস মহামারিতে ডাব্লিউএইচও চীনের ‘মুখপাত্র’ হিসেবে কাজ করছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে এলে চীন ও ডাব্লিউএইচও উভয়কেই এর জন্য কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।

ডাব্লিউএইচওর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আরেক সিনেটর জশ হাওলি। টুইটে তিনি বলেন, ‘মহামারির সময় ডাব্লিউএইচও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি পক্ষ নিচ্ছে। তাদেরকে এর ফল ভোগ করতে হবে।’

সম্প্রতি, টুইটে করোনাভাইরাস ঠেকাতে চীনের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন ডাব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস। এরপর থেকেই মার্কিন নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। করোনা ভাইরাসের বিষয়ে তথ্য গোপন ও  অপপ্রচারে তিনি চীনকে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

গত জানুয়ারিতে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন টেড্রোস। সেসময় টুইটে চীনের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

করোনাভাইরাস নিয়ে শুরু থেকেই একে অপরকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। নতুন করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ হিসেবে সম্বোধন করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ধরনের মন্তব্যকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘জাতিগত বৈষম্য’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে চীন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago