উত্তর টোলারবাগ: লকডাউন হলেও ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকেই

ঢাকার উত্তর টোলারবাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন মারা যাওয়ার পর এলাকাটি লকডাউন করা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের গতিবিধি কিছুটা সীমিত হলেও গলির ভেতরে চায়ের দোকানগুলোতে এখনও জনসমাগম হচ্ছে। এতে যে উদ্দেশে এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছিল তা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
টোলারবাগ এলাকায় ঢোকার প্রবেশপথে হ্যান্ডমাইকে লোকজনকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার উত্তর টোলারবাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন মারা যাওয়ার পর এলাকাটি লকডাউন করা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের গতিবিধি কিছুটা সীমিত হলেও গলির ভেতরে চায়ের দোকানগুলোতে এখনও জনসমাগম হচ্ছে। এতে যে উদ্দেশে এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছিল তা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কঠোর তদারকি না থাকায় এলাকার ভেতরের বাসিন্দা ও পাশের বস্তির লোকজন চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রতি মানুষের উদাসীনতাকেও এর জন্য দুষছেন তারা।

টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে এই এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা কঠোরভাবে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

উত্তর টোলারবাগ ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। কর্তৃপক্ষের উচিত এখানে কঠোরভাবে লকডাউন নিশ্চিত করা। এলাকায় ঢোকার যে ফটক রয়েছে সেখানে কিছু পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও তারা এলাকার ভেতরে ঢোকেন না। অপ্রয়োজনে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন কি না সেটা তাদের দেখা উচিত।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এলাকার মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও এলাকার কিছু তরুণের নিজেদের মধ্যে মেলামেশা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। কোনো সতর্কবার্তেই তাদের নিবৃত করা যাচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

11m ago