করোনা মহামারিতে ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন না অ্যান্ডারসন
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে পৃথিবী, অচলাবস্থা ক্রিকেট অঙ্গনেও। আবার কবে খেলা ফিরবে মাঠে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এতে অনেক বর্ষীয়ান তারকার ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে জেমস অ্যান্ডারসনের ভাবনাটা ভিন্ন। ৩৮ ছুঁইছুঁই তারকা ইংলিশ পেসার ফের ২২ গজে সুইংয়ের জাদু দেখানোর প্রত্যাশায় আছেন।
গেল ১২ মাসে ইংল্যান্ডের হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন কেবল টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া অ্যান্ডারসন। চোটের হানায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ অ্যাশেজের প্রায় পুরোটা সময় দর্শকে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। ঘরের মাঠে পুরো সিরিজে করতে পেরেছিলেন মোটে ১৬ বল।
সুস্থ হয়ে উঠে এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অবশ্য দারুণ নৈপুণ্য দেখান অ্যান্ডারসন। দুই টেস্ট খেলে নেন নয় উইকেট। কিন্তু ফের চোট পাওয়ায় সিরিজ শেষের আগে ছিটকে যান তিনি। তারপর নিজেকে পুরো ফিট দাবি করলেও চলতি মাসের শুরুতে করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার।
একের পর এক চোট, বয়সটাও থেমে থাকছে না। অ্যান্ডারসন পৌঁছে গেছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। আর এমন সময়েই বিশ্ব জুড়ে দেখা দিয়েছে প্রাণঘাতী মহামারি। এখন পর্যন্ত, প্রায় দুইশ দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৬ হাজার ২৬২ জনে।
তবে ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অভিজ্ঞ অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, অবসর ভাবনা তার মাথাতে নেই এবং করোনার প্রভাবমুক্ত হয়ে ক্রিকেট নামক খেলাটি মাঠে ফিরতে যদি আগামী বছর পর্যন্ত সময়ও নেয়, তাতেও ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ফিরতে প্রস্তুত থাকবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক কনফারেন্স কলে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের কাছে অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘আমি আসলে আর কখনোই ক্রিকেট না খেলার ব্যাপারে চিন্তা করিনি। আমি অনুভব করি যে, আমি আবার খেলব এবং কোনো না কোনো সময়ে খেলব।’
‘আমি এখনও খেলার জন্য ক্ষুধার্ত। আমি এখনও ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার প্রত্যাশা রাখি। আমি মনে করি, ঘরে থাকা অবস্থায় এই আকাঙ্ক্ষাই আমাকে ফিটনেস ধরে রাখতে সাহায্য করবে, যেন যখনই আমরা আবার খেলতে নামি না কেন, আমি তৈরি থাকব। আগামী গ্রীষ্মে হোক কিংবা শীতে, আমার লক্ষ্য হলো দলে ফেরার চেষ্টা করা।’
Comments