বরগুনায় থানা হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু: ওসি প্রত্যাহার

Borguna-map
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলী থানা হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকালে তাকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

একই ঘটনায় গতকাল দুপুরে থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও সহকারী উপপরিদর্শক আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তোফায়েল আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘থানায় আসামি মৃত্যুর মূল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে আমতলী থানার ওসি আবুল বাশারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

নিহত শানু হাওলাদারের ছেলে সাকিব বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি। তিনি টাকা না পেয়ে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শানু হাওলাদারের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

গতকাল বরগুনার আমতলী থানা হাজত থেকে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা না পেয়ে শানুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, শানু হাওলাদার আত্মহত্যা করেছেন।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এ ঘটনা তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তোফায়েল আহম্মেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বরগুনা সদর) মো. মহব্বত আলী ও সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী সার্কেল) সৈয়দ রবিউল ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

SC orders EC to restore Jamaat's registration

The Appellate Division of the SC scrapped a High Court verdict that had declared Jamaat's registration with the EC as a political party "illegal"

1h ago