করোনাভাইরাস: চুক্তির বাইরের ক্রিকেটারদের আর্থিক অনুদান বিসিবির

BCB logo

জাতীয় দলের চুক্তিতে যেসব তারকা ক্রিকেটার আছেন, আর্থিকভাবে বেশ শক্ত ভিত তাদের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা আরও ৯০ জনকেও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মাসিক পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে বিসিবি। এর বাইরেও আছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। যাদের রুটি-রুজি মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের উপর নির্ভরশীল। করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন তারা। তাদের অবস্থা বুঝে পাশে দাঁড়িয়েছে বোর্ড, দিচ্ছে আর্থিক অনুদান।

শনিবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি বলেছে, বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান চুক্তির বাইরের এসব ক্রিকেটারদের চলমান পরিস্থিতিতে এক দফায় ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন কয়েকজন ক্রিকেটার।

তাদের জন্য আপাতত কিছুটা স্বস্তির খবর জানাচ্ছেন বোর্ড প্রধান, ‘অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য খেলা বন্ধ আছে। যেসব ক্রিকেটার বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে নেই, তারা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব থেকেও সামান্য কিছু টাকা পেয়েছেন। এই সময়টা তাদের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ কঠিন। আমরা তাদের কিছুটা আর্থিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিসিবির লাল ও সাদা বলের ফরম্যাট মিলিয়ে জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন ১৭ ক্রিকেটার। এর বাইরে ৯০ জন আছেন প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে। এছাড়া যুব বিশ্বকাপ জিতে আসা ক্রিকেটারদেরও দুই বছরে চুক্তিতে রাখছে বোর্ড। সবমিলিয়ে বিভিন্ন রকম চুক্তিতে আছেন ১২২ জন ক্রিকেটার, যারা নিয়মিত মাসিক পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন।

চুক্তিতে থাকা এই ক্রিকেটারদের বাইরে প্রিমিয়ার লিগে আরও ১১৮ জন ক্রিকেটার খেলে থাকেন। তাদের প্রত্যেকে তাই পাচ্ছেন ৩০ হাজার টাকার অনুদান।

নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর ছোবলে এক রাউন্ডের পরই গত ১৯ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। খেলা আবার কবে ফিরবে, আদৌ এই বছর লিগ মাঠে ফিরবে কি-না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

9h ago