অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞাও কাটল স্মিথের
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন, কিন্তু অধিনায়কত্ব থেকে স্টিভেন স্মিথ নিষিদ্ধ ছিলেন বাড়তি এক বছর। গত বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফেরা এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান এবার নেতৃত্বের জন্যও উন্মুক্ত হলেন।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির ক্রিকেট বিশ্ব। খেলাকে ছাপিয়ে সবার নজরই এখন বিভিন্ন দেশের লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে। এমন সময়ে রোববার (২৯ মার্চ) স্মিথের অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ফুরিয়েছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চাইলে তাই ফের অধিনায়ক করতে পারবে স্মিথকে। ঘরোয়া সব পর্যায়ের ক্রিকেটেও অধিনায়কত্বের ভার নিতে পারবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
২০১৮ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপটাউন টেস্টে দলীয় সিদ্ধান্তে শিরিষ কাগজ দিয়ে বলের আকৃতি বদলানোর চেষ্টা করেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। ম্যাচ সম্প্রচারকারীদের ক্যামেরায় পুরো দৃশ্য ধরা পড়ার পর সংবাদ সম্মেলনে নিজ থেকেই সব দায় মেনে নেন তখনকার অধিনায়ক স্মিথ। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে স্মিথ, সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফটকে দেশে ফিরিয়ে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তখন যেকোনো পর্যায়ে অধিনায়কত্ব করা থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান স্মিথ। এই ঘটনার পর তার অশ্রুভেজা ছবি চলে আসে তুমুল আলোচনায়।
২০১৯ বিশ্বকাপের আগে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ফুরোলে খেলায় ফেরেন স্মিথ-ওয়ার্নার। আর স্মিথের বদলে সীমিত সংস্করণে অ্যারন ফিঞ্চ ও টেস্টে টিম পেইন নেতৃত্ব দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়াকে। পেইনের অধিনায়কত্বে গত অ্যাশেজে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতায় রান করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তোলেন স্মিথ।
মাঝের সময়টাতে, ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে চলা অস্ট্রেলিয়া সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেও স্মিথের নেতৃত্বের অভাব টের পাওয়া যাচ্ছিল। জুনিয়র ক্রিকেট থেকে নেতৃত্বের জন্য তৈরি হওয়া স্মিথ তাই সামনে আবার দায়িত্ব ফিরে পান কি-না, তা এখন বড় কৌতূহলের বিষয়।
চলতি বছর জুনে বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিরূপ পরিস্থিতির কারণে এই সিরিজ হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।
Comments