মে মাসের আগে খেলা নিয়ে চিন্তারও সুযোগ নেই: বিসিবি প্রধান
করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থবির হয়ে আছে সমস্ত খেলা। দেশের ক্রিকেটও তাই থমকে গেছে। এই দুঃসময় কবে শেষ হবে, কবে মাঠে ফিরবে খেলা তার কোনো পরিষ্কার ধারণা নেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের। এমনকি আগামী মে মাস পর্যন্ত খেলা নিয়ে চিন্তা করারও পরিস্থিতি দেখছেন না তিনি।
গত ১৯ মার্চ মাত্র এক রাউন্ড হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। প্রথমে পরবর্তী এক রাউন্ডের জন্য, আর পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে এই টুর্নামেন্ট। কাছকাছি সময়ে স্থগিত হতে থাকে বিশ্বের সব বড় ক্রীড়া আসরই।
খেলা নেই, অনুশীলন নেই। বাড়িতে থাকার পরামর্শের কারণে ক্রিকেটারদেরও সময় কাটছে শুয়ে-বসে। এই অলস সময়টা কেটে যাওয়ার প্রতীক্ষায় তাই সকলেই। কয়েক দিন আগে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে বিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন, অন্তত ১৫ এপ্রিলের আগে খেলা মাঠে ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।
তবে রোববার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপে জানালেন, পুরো এপ্রিল মাস তো বটেই, খেলা কবে শুরু করা যাবে তা নিয়েও ভাবার মতো অবস্থা দেখছেন না তিনি, ‘আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। আমরা জানি না কবে, কখন, কীভাবে এটি শেষ হবে। আমার মনে হয়, এপ্রিলের পর মে মাসে হয়তো সুযোগ আসবে এটা নিয়ে কথা বলার। তার আগে খেলা নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগই দেখছি না।’
আসন্ন এপ্রিল মাসে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মে মাসে প্রিমিয়ার লিগ শুরুর কথা ভাববে বোর্ড। তবে হুট করেই লিগ শুরু না করে বেশ কিছু প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেছেন বোর্ড প্রধান, ‘এপ্রিলের পর যদি পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকে, আমরা তখন ডিপিএলের কথা ভাবব যে এটা শেষ করা যায় কি-না। সময় লাগার কারণ হচ্ছে, এরকম একটা সংকটের পর খেলা শুরু করতে হলে আলাদা কিছু প্রস্তুতি দরকার।’
মে মাসে ঘরোয়া ক্রিকেট না হয় শুরু হলো। কিন্তু গোলমাল লেগে যাওয়া আন্তর্জাতিক সূচির কী হবে? করোনাভাইরাসের হানায় যে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর ও আয়ারল্যান্ড সফর এর মধ্যেই স্থগিত হয়ে গেছে! আগামী জুনে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরও পড়েছে অনিশ্চয়তায়।
এসব স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজ কবে, কীভাবে খেলার ব্যবস্থা হবে তা-ও অজানা বিসিবির। নাজমুল জানিয়েছেন, কেবল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডই নয়, বিরূপ এই পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বের সব ক্রিকেট বোর্ডই আছে অন্ধকারে, ‘আন্তর্জাতিক সূচির কী হবে, সিরিজ যা স্থগিত হবে তার কী হবে এসব এখনও পরিষ্কার নয়। আমি আইসিসির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না কবে এই স্থবিরতা শেষ হবে। কাজেই আন্তর্জাতিক সূচির ভাগ্য কী আমরা এখনও জানি না।’
যেকোনো পর্যায়েই মাঠে খেলা ফেরানোর ক্ষেত্রে উপমহাদেশের বাকি দলগুলো কোন পথে হাঁটে তাতে নজর থাকবে বোর্ডের। কারণ স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয় জড়িত এখানে, ‘উপমহাদেশের অন্য দলগুলো কী পরিকল্পনা করছে তার উপর নজর রাখছে বোর্ড। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে তাড়াহুড়ো না করে সতর্ক থাকা।’
Comments