দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের দৃষ্টান্ত চাঁদপুর পুলিশের
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা করোনা মোকাবিলার অন্যতম একটি উপায়। এই দূরত্বের কারণে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র মানুষেরা। তাদের প্রয়োজন হয় কাজ, নয়তো খাবার।
এমন পরিস্থিতিতে দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের একটি দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।
আজ রোববার চাঁদপুর জেলা পুলিশ একশর বেশি জনের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে।
চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা যে বিষয়টি তুলে ধরতে চাই তা হলো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে হবে। যাতে খাবার নিতে এসে কেউ যেন করোনায় আক্রান্ত হওয়া ঝুঁকিতে না পড়েন!’
তিনি আরও বলেন, ‘শতশত সংগঠন ও হাজারো দানশীল মানুষ এই দুর্যোগে লোকজনকে খাদ্যসামগ্রী দিবেন। সবার প্রতি আমাদের একটি অনুরোধ— যাই করুন না কেন সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে এটি নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।’
তিনি জানান, আমরা প্রথমে একটি মাঠ বাছাই করে নেওয়ার পর যতো মানুষকে খাবার দেওয়া হবে, নির্দিষ্ট দূরত্বে গোলাকার বৃত্ত করে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। তাদের একজনকে একটি বৃত্তে দাঁড়াতে বলা হয়। তারপরও ক্রমান্বয় সুষ্ঠুভাবে খাবার বিতরণ করা হয়।
তিনি মনে করেন, যদি দূরত্ব মেনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা না হয় তাহলে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয় কোরালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। বেলা ১২টার সময় বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে আরও আগে থেকে মাঠ প্রস্তুত ও খাদ্যসামগ্রী গ্রহীতাদের স্লিপ চেক করাসহ তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাবার গ্রহণ করার ব্যাপারে ব্রিফিং দেওয়া হয়।
দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের ৩০০ পরিবারের একটি তালিকা তৈরি করে আজকে ১২০ জনকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় উল্লেখ করে চাঁদপুর জেলা পুলিশ জানায় বাকিদের আগামীকাল ও পরশুদিন খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে।
আজকের অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মিজানুর রহমান।
Comments