পুলিশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান

এই ছবিটি এডিট করে পুলিশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ছবি কৃতজ্ঞতা: পুলিশ সদর দপতর

পুলিশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়াতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। তার মধ্যে এ ধরনের অপপ্রচার পুলিশ সদস্যদের জন্য হতাশাজনক।

২০১১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা দেশব্যাপী অবরোধে, অগ্নিসংযোগ ও হামলার সময় তোলা পুলিশের একটি ছবিকে এডিট করে এখনকার ছবি উল্লেখ করে নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে পুলিশ সদর দপ্তর এ আহ্বান জানাল।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সাধারণ মানুষ এসব পোস্ট বিশ্বাস করছে এবং পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী ইনস্পেক্টর জেনারেল সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পুলিশ শুরু থেকেই সরকারের নির্দেশ মেনে চলছে। দেশ ও জাতির কল্যাণে পুলিশ নিরলসভাবে সারাদেশে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিদিন সারা দেশের লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ। তবে, পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অভিযোগও উঠেছে।’

সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম থেকে এসব অভিযোগ পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে আসার পরপরই ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এআইজি সোহেল রানা।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ মহাপরিদর্শক ভিডিও বার্তা এবং ফোনে সব দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। মাঠ পর্যায়ে মোতায়েন করা কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ফলে, এ জাতীয় ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হয়নি বা পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে আসেনি। বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমেও এমন খবর আর প্রকাশিত হতে দেখা যায়নি।’

কিছু সংবাদমাধ্যম এখনও বিকৃত ছবি ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করছে। এগুলোও এক ধরনের গুজব যা পুলিশ কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব গুজবের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমাদের সাইবার টিম কাজ করছে।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago