আপনারা টেস্ট করুন, বেশি বেশি করে টেস্ট করুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা পরীক্ষার জন্য টেস্টিং ফ্যাসিলিটি ঢাকায় ইতোমধ্যে আপনারা জানেন নতুন জায়গা থেকে শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আইপিএস, শিশু হাসপাতাল। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজেও টেস্টিং ফ্যাসিলিটি শুরু হয়ে যাবে। ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ কাজ শুরু করবে, রংপুর ও রাজশাহী শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি মেডিকেল কলেজে টেস্টিং ফ্যাসিলিটি শুরু করবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা পরীক্ষার জন্য টেস্টিং ফ্যাসিলিটি ঢাকায় ইতোমধ্যে আপনারা জানেন নতুন জায়গা থেকে শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আইপিএস, শিশু হাসপাতাল। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজেও টেস্টিং ফ্যাসিলিটি শুরু হয়ে যাবে। ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ কাজ শুরু করবে, রংপুর ও রাজশাহী শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি মেডিকেল কলেজে টেস্টিং ফ্যাসিলিটি শুরু করবে।’

‘কিন্তু, টেস্টিং ফ্যাসিলিটি থাকলেই তো চলবে না। জনগণ পরীক্ষা করুক। জনগণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণ এগিয়ে আসুক, টেস্ট করুক। আমিও চাচ্ছি না যে জনগণ টেস্টের বাইরে থাকুক। যারা সন্দেহজনক অবস্থানে রয়েছেন, তারা টেস্ট করিয়ে নিন। নিজেরা ভালো থাকুন, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। কারণ, টেস্ট ছাড়া কিন্তু আমরা বুঝতে পারবো না। আমি আবারো আহ্বান করছি যে আপনারা টেস্ট করুন। বেশি বেশি করে টেস্ট করুন। নিজেরা সুস্থ থাকুন’ যোগ করেন তিনি।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করছি। আমরা হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বসাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৭০০ ভেন্টিলেটর বসানোর কার্যক্রম চলছে। ইমপোর্টে সাড়ে তিন শ রয়েছে। প্রাইভেটে সাত শ ভেন্টিলেটর রয়েছে। আমাদের হাসপাতালগুলোকে আমরা আরও প্রস্তুত করছি। ইতোমধ্যে কুর্মিটোলাকে আমরা প্রস্তুত করেছি। গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালকে প্রস্তুত করেছি। সেখানে ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কুয়েত মৈত্রী আগে থেকেই কাজ করছে। পাশাপাশি আরও অনেক হাসপাতাল ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রস্তুত রয়েছে।’

‘আমরা প্রতিনিয়তই যেসব জিনিস প্রয়োজন হয়, করোনাভাইরাসজনিত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য, যেমন: পিপিই, মাস্ক, এগুলো প্রতিনিয়তই আমরা বাড়িয়ে চলেছি। আমি আহ্বান করবো এগুলোর সঠিক ব্যবহার যাতে হয়’, বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা কিছুটা হলেও মানা হচ্ছে না। আমি দেখেছি ঢাকা, পুরান ঢাকা এবং ঢাকার আশেপাশে, বিভিন্ন জেলায়, ইউনিয়নগুলোতেও সেখানে লোক ভেতরে ঘোরাফেরা করছে, বাজারে ঘোরাফেরা করছে, টি-স্টলে বসছে। এই জিনিসটা মোটেও কাম্য নয়। তাহলে পরে তারা সংক্রমণটা ছড়িয়ে দেবে। তাই আমি আশা করি, এই কাজ থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে যারা ঢাকা থেকে গেছেন গ্রামের বাড়িতে, তারা বেশি ঘোরাফেরা করছেন। আমি আপনাদের আহ্বান করবো, ঘোরাফেরাটা করবেন না। তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago