করোনা-ঝুঁকি: কাজ করতে চা-শ্রমিকদের ‘না’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সারাদেশে জনসমাগম বন্ধ রাখা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
কিন্তু, এ সময়েও বন্ধ হয়নি দেশের চা-বাগানগুলো। সে কারণে, গত ২৭ মার্চ থেকে নিজ উদ্যোগেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা-বাগানের শ্রমিকরা।
ডানকান ব্রাদার্স মালিকানাধীন বৃহৎ শমশেরনগর চা-বাগানটিতে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৪০৪।
গত ২৭ মার্চ সকালে চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও চা-শ্রমিকদের ৫০ জনের মতো একটি দল বাগান ব্যবস্থাপকের কাছে গিয়ে জানান, তারা কাজ বন্ধ করে দিতে চান।
চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত কানু গোপাল বলেন, ‘গত ২৫ মার্চ দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছেন। তাহলে আমরা কেন কাজ করবো? এটি নিয়ে বাগান ব্যবস্থাপকের সঙ্গে আমরা কথা বলি। কিন্তু, তিনি শ্রীমঙ্গলের শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালকের একটি চিঠির বরাত দিয়ে জানান, এ ছুটি চা-শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু, আমাদের জীবন চায়ের থেকেও মূল্যবান। তাই আমরা নিজ উদ্যোগেই বাগান বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’
শমশেরনগর চা-বাগানের শ্রমিকদের নেওয়া এই পদক্ষেপে প্রায় এক লাখ স্থায়ী চা-শ্রমিকের সংগঠন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন বিস্মিত না হলেও বাগান মালিকদের প্রতিনিধিত্ব করা সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) অনেকটা বিব্রত।
কারণ, মন্ত্রিপরিষদ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও শ্রীমঙ্গলের শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালকের চিঠির ওপর ভিত্তি করে দেশে সাধারণ ছুটি চলাকালীন (২৬ মার্চ-৪ এপ্রিল) চা-শ্রমিকদের কাজ বন্ধের ব্যাপারটি প্রত্যাখ্যান করে বিটিএ।
পরবর্তীকালে ৩০ মার্চ থেকে শমশেরনগর চা-বাগানে আবারও কাজ শুরু হয়। তবে, কাজের সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়। চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশা অরনাল বলেন, ‘কাজ বন্ধ রাখলে মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা যথারীতি পাওয়া যাবে কি না, এটি জানতে বাগানের ব্যবস্থাপকের কাছে যায় পঞ্চায়েত, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চা-শ্রমিকরা। কিন্তু, বাগানের ব্যবস্থাপক এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না— এমনটি বুঝতে পারায় আমরা উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত ৩০ মার্চ থেকে আধবেলা কাজ করার প্রস্তাব তাকে দেই। কারণ, চা-শ্রমিকরা অনাহারে থাকুক, তা আমরা চাই না।’
আধবেলা কাজ করার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে ব্যবস্থাপক বলেন, ‘এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা আমি একা স্বাধীনভাবে নিতে পারি না। আমরা কাউকে কাজ করতে বাধ্য করিনি। শ্রমিকরাই পরে আবার কাজে যোগ দেয়।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির উদ্যোগে সেখানকার ২৩টি চা-বাগানের কাজ ৩০ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘বন্ধের সময় যাতে আমাদের পুরো মজুরি ও রেশন দেওয়া হয়, তা জানিয়ে আমরা বাগান ব্যবস্থাপকদের চিঠি দিয়েছি।’
আলোচনার ক্ষেত্রে সরকার ও বাগান মালিকদের চেয়ে অনেকটা দুর্বল অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন। মন্ত্রিপরিষদ থেকে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেখার পর গত ২৬ মার্চ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গলের শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালকের কাছে একটি আবেদনপত্র পাঠিয়েছে, যাতে তারা চা-বাগান বন্ধ করতে এবং সেসময় শ্রমিকদের পুরো বেতন ও সুবিধা দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও বাগান মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক তাৎক্ষণিক জবাবে জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে চা-শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ ছুটি প্রযোজ্য নয়।
তিনি এও জানান, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, ওষুধ/খাদ্য প্রস্তুত ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য শিল্প কারখানা, প্রতিষ্ঠান, বাজার, দোকানপাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে। বিটিএ বলছে, সরকার যেহেতু চা-বাগানের কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেনি, তাই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনার অধীনে চা-বাগানের কার্যত্রম চলবে। তবে, শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক এ সময়ে চা-শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিএ’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা উদ্বিগ্ন। কিন্তু, চা-বাগান বন্ধ করতে প্রস্তুত নয়। তিনি বলেন, ‘চায়ের দাম কমার কারণে ইতোমধ্যে আমরা ঝামেলায় আছি। চা-শ্রমিকদের মতো আমাদেরও সহায়তা দরকার। উৎপাদন খরচ বাড়তে থাকায় এ শিল্প চালানোই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
‘৪ এপ্রিলের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসগুলো খুললে এ ব্যাপারে বিটিএ তাদেরকে চিঠি দেবে’, বলেন তিনি।
তবে, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরীর মতে, বিটিএ যখন চিঠি দেবে, ততক্ষণে বিষয়টি বিলম্বিত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা চা-বাগানের শ্রমিক ও এই সম্প্রদায় বর্তমান পরিস্থিতিতে শঙ্কার মধ্যে আছি।’
শমশেরনগর চা-বাগান ও এটির চারটি ফাঁড়ি বাগানের শ্রমিকদের নেওয়া উদ্যোগ থেকে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ঢিলেঢালা পদক্ষেপ ও বাগান কর্তৃপক্ষের ওপর শ্রমিকদের যথেষ্ট আস্থা নেই। এটি সত্যি যে চা-বাগানগুলো আমাদের দৃষ্টি থেকে দূরে। যা অনেক দূরের জায়গা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে, চা-বাগানের কাজের পরিবেশ এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায় যেখানে বাস করে, তা থেকে এটি স্পষ্ট যে, বর্তমানে দেশের অন্যান্যদের মতো তাদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যাবশ্যকীয়।
দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করা চা-শ্রমিকরা এখন ঘরে থেকে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছেন। তাদের সমর্থনে কিছু যুক্তি তুলে ধরা হলো—
প্রথমত, চা-শ্রমিক, বিশেষ করে চা-পাতা সংগ্রহকারী নারীরা দল বেধে কাজ করে থাকেন। শ্রম আইনে বলা থাকলেও তাদের কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা নেই। তাদের কর্মক্ষেত্রে সাধারণত পানিওয়ালারা পানি বহন করে নিয়ে আসেন। অনেক শ্রমিকই একি গ্লাসে পানি পান করেন। অনেকে আবার হাতের মুঠোয় পানি নিয়ে পান করেন। সেসময় হয়তো তারা হাত ভালো করে পরিষ্কার করেন না কিংবা পরিষ্কারই করেন না। এ পরিস্থিতিতে ভাইরাস ছড়াতে এর থেকে বিপজ্জনক আর কী হতে পারে?
দ্বিতীয়ত, চা-পাতা সংগ্রহকারী নারী শ্রমিক, যারা সারাদিন বাগানে কাজ করেন, তাদের জন্য কোনো টয়লেট নেই। যে কারণে প্রয়োজনে তারা খোলা স্থানেই মলত্যাগ করে থাকেন। খোলা জায়গায় মলত্যাগ শেষে তারা সাধারণত সাবান দিয়ে হাত ধোয় না।
তৃতীয়ত, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাত ধোয়ার অভ্যাস করা, যা চা-বাগানে দেখা যায় না বললেই চলে। চা-বাগানে কাজ করা কিছু শ্রমিককে ফোন করে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে তাদের হাত ধোয়ার অভ্যাসের কথা জানতে চাইলে তারা জানান, বাগান কর্তৃপক্ষ আস্তো সাবান কেটে ভাগ করে তাদের দিচ্ছে। কিন্তু, পানিওয়ালারা যে পরিমাণ পানি নিয়ে আসেন এবং যে পরিমাণ সাবান সরবরাহ করা হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বাগান থেকে চা-পাতা সংগ্রহের পর নোংরা হাতেই তারা দুপুরের খাবার খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া, তারা কাছাকাছি বসে সবাই মিলে খোলা জায়গাতেই দুপুরের খাবার খেয়ে থাকেন।
চতুর্থত, দিনে দুইবার চা-পাতা সংগ্রহ ও ওজনের সময় কয়েক শ শ্রমিক কাঁচা পাতার ঝুলি মাথায় নিয়ে এক জায়গায় জড়ো হন। এ সময়েই ঘটতে পারে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।
পঞ্চমত, প্রায় সব চা-বাগানেই পাট্টায় দেশীয় মদ বিক্রি হয়, যা কম উদ্বেগজনক নয়। পাট্টা আশপাশের শহর ও গ্রামের মানুষদের কাছে একটি আকর্ষণ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন মিলে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও এসব পাট্টা বন্ধ করে দিতে পারে। পাশাপাশি চা-বাগানে বহিরাগতদের আনাগোনা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে পারে।
অনেকেই ভাবতে পারেন যে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের চা-শ্রমিক এবং চা-বাগানের জন্য কোনটি যথার্থ। বিশ্বব্যাপী চলমান এ সংকটে ভারতের চা-বাগানগুলোতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে খোঁজ আমরা নিতে পারি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম রাজ্যে চলমান লকডাউনের সময় সেখানকার সব চা-বাগানের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চা সমিতির উপদেষ্টা বিদ্যানন্দ বরকাকোতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চা এখন কোনো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয় এবং লকডাউন চলাকালীন যেসব পণ্য নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে, সেই তালিকায় চা নেই।’
এ ছাড়া, কনসালটেটিভ কমিটি অব প্লানটেশন অ্যাসোসিয়েশন (সিসিপিএ) ঘোষণা দিয়েছে, চা-বাগানেও লকডাউন অনিবার্য।
তবে, আসামের চা-বাগানগুলোর জরুরি পরিষেবাগুলো রোস্টার ভিত্তিতে চালু থাকবে। ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যটিতে অন্তত ৮৫০টি চা-বাগান আছে, যেখানে কাজ করেন প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক। বিশ্বব্যাপী চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আসামের চা-বাগানের মালিক, রাজ্য সরকার ও ট্রেড ইউনিয়ন যেখানে চা-শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করছে, সেখানে বাংলাদেশে আমরা যে চিত্র দেখছি সেটি খুবই দুঃখজনক।
আমাদের বিটিএ সেখানকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চা সমিতির মতো সংগঠন হলেও বিশ্বব্যাপী চলা এ মহামারির সময় চা-বাগান বন্ধের বিপক্ষেই তাদের অবস্থান। এ ছাড়া, চা-শ্রমিকদের কল্যাণে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর মাঝেও আমরা শ্রমিকদের জন্য যথেষ্ট সহানুভূতি দেখতে পাচ্ছি না।
গত ২৭ মার্চ শমশেরনগর চা-বাগান পঞ্চায়েত ও শ্রমিকরা এবং পরবর্তীতে মৌলভীবাজার জেলার কিছু চা-বাগান ও সিলেট জেলার সব চা-বাগানের শ্রমিকরা যা করলো, তাতে দৈনন্দিন জীবনে বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার চা-শ্রমিকদের হতাশার চিত্র স্পষ্ট।
সামনের দিনগুলোতে যদি চা-শ্রমিকরা নিজ উদ্যোগে অন্যান্য বাগানগুলোও বন্ধ করতে শুরু করে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে বিটিএ ও বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নসহ সরকারি অফিসগুলো বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, আমরা বিশ্বাস করি, চা-বাগানের কার্যক্রম বন্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে তারা চাইলে এখনো আলোচনা করতে পারে।
আমারা আশা করছি, সরকারঘোষিত পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার সুবিধা চা-শ্রমিকরাও পাবেন। সরকারঘোষিত প্রণোদনার সামান্য পরিমাণ পেলেও চলমান জরুরি অবস্থায় চা-শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া, চা-শ্রমিকরা যাতে অনাহারে না থাকেন, সেক্ষেত্রে বাগান মালিকদেরও অবশ্যই কিছু দায়িত্ব আছে। বাগানগুলোতে যাতে আর্থিক ক্ষতি না হয়, সেজন্য রোস্টার ভিত্তিতে কাজ করতে চা-শ্রমিকরা আগ্রহী। কারণ, বাগানই তাদের ‘প্রাণ’। কিন্তু, দেশে চলমান পরিস্থিতিতে তাদের উদ্বেগের বিষয়টিও অবিলম্বে শোনা দরকার।
ফিলিপ গাইন: গবেষক ও সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (শেড) পরিচালক
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)
Comments