‘ত্রাণ যাবে বাড়ি’
‘যার যার ঘরে থাকুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন’এই শ্লোগানে চাঁদপুরে চালু হয়েছে ‘ত্রাণ যাবে বাড়ি’ কার্যক্রম। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় আজ বুধবার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উদ্যোগের প্রথম দিনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের হট লাইনে ত্রাণের জন্য ফোন দেওয়া ৪১ জনকে বাছাই করে বিকেলে স্বেচ্ছাসেবীরা মোটরসাইকেলে করে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সততা স্টোর চালুর পাশাপাশি দূর দূরান্তে বসবাসকারী অসহায়দের জন্য বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এই মানবিক কাজে স্থানীয় তরুণরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করছেন।
এ ছাড়াও চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সততা স্টোর ও ভ্রাম্যমাণ দোকানের মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ইউপি সচিব আবু বকর সিদ্দিক জানান, সরকারি নির্দেশনার আগেই মৈশাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিকের নেতৃত্বে করোনা সচেতনতায় সব ধরনের সতর্কতা ও সচেতনতা মূলক প্রচারণা শুরু করা হয়। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাসহ প্রতিটি মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে।
গত ৩১ মার্চ মৈশাদী ইউনিয়নের তালতলা বাজারে চালু করা হয় সততা স্টোর। এখানে গ্রামের মানুষ ১০ শতাংশ কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন। এছাড়া পুরো ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ পিকআপ ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
Comments