লকডাউন উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর বাদুরাহাটে ভিড়, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে হাজারো মানুষ

বাদুরাহাটে দেখা গেল হাজারেরও বেশি মানুষের সমাগম। ছবি: স্টার

সকাল সাড়ে ৯টা। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সাপ্তাহিক বাদুরাহাটে দেখা গেল হাজারেরও বেশি মানুষের সমাগম। জেলার মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম হাট এটি। করোনা ঝুঁকিতে থাকা গোটা দেশে যখন লকডাউন তখন এ ধরনের জনসমাগম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপুর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রাও।

হাটটি সাধারণত সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। সকালে কাঁচামাল, হাঁস-মুরগী, ধান-চাল, ডাল-মরিচ, মাছ-মাংসসহ নানা সামগ্রী বিক্রি হয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে গরু-মহিষ বিক্রি।

বাজারটি পটুয়াখালী সদর উপজেলা, গলাচিপা উপজেলা ও বরগুনার আমতলী— এ তিনটি উপজেলার সংযোগস্থলে হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা তুলনামূলক ভালো থাকায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয় বৃহস্পতিবারের এই সাপ্তাহিক হাটটিতে।

করোনার কারণে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করায় স্থানীয় ও বিদেশফেরতদের অনেকেই এখন নিজ নিজ এলাকায় থাকায় অন্যান্য সময়ের চেয়ে হাটে জনমসাগম অনেক বেশি।

পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণের এ হাটটি এই অঞ্চলের অন্যতম বড় হাট।

হাটুরে ছৈলাবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা সপ্তাহের পারিবারিক কেনাকাটা এ হাট থেকেই করি। আমার মতো অনেকেই বাজারে এসেছেন।’

করোনার আতঙ্ক থাকলেও পারিবারিক চাহিদা মেটাতে বাজারে না এসে উপায় নেই বলে জানালেন হাটুরে বাঁশবুনিয়া গ্রামের আব্দুল বারেক।

বাদুরা গ্রামের মো. সেলিম হাওলাদার বলেন, ‘করোনা ঝুঁকির মধ্যে এত সমাগম নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হাজারো মানুষ ঝুঁকিতে আছেন। প্রশাসনের এ দিকে নজর দেওয়া উচিত।’

এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ওই হাটে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে।’ জনমসাগম রোধকল্পে সচেতন করার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

হাটবাজার আয়োজন না করার জন্য এলাকায় মাইকিং করাও হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইউএনও।

Comments

The Daily Star  | English

NBR moves to speed up auction of abandoned goods

About 2 lakh tonnes of imported goods left abandoned at Chattogram port alone for years

52m ago