কুড়িগ্রামে যক্ষ্মা আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনিরাম গ্রামে শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল বিকালে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনিরাম গ্রামে শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল বিকালে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফজিলাতুন্নেছা বন্যা বলেন, শরীফুল দীর্ঘ দিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন না করায় তার মৃত্যু হয়েছে।

শরীফুল ধনিরাম গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শরীফুল দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছিল। প্রায়ই তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হতো।

তার স্বজনরা জানান, কয়েক বছর আগে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি নিয়ে শরীফুল ঢাকায় যান। গত ২৬ মার্চ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা অনুভব করলে তিনি ঢাকায় চিকিৎসা নেন। এরপর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে ৩১ মার্চ বিকালে তিনি বাড়িতে চলে আসেন এবং গতকাল সকালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় এক চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়ে জানা যায়, তিনি হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বিকালে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে শরীফুলের মৃত্যু হয়।

সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, দাফনের সময় গ্রামবাসী আসেনি। তাদের ধারণা হয়েছে, শরীফুল করোনায় আক্রান্ত। আমাদের আত্মীয়দের অনেকে আসেনি। অথচ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গতকাল রাতে আমরা মরদেহ দাফন করেছি।

কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম হাবিবুর রহমান বলেন, ওই যুবকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল না। তাই পারিবারিকভাবে মরদেহ দাফনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি ঢাকায় থেকে অসুস্থ হয়ে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ডা. ফজিলাতুন্নেছা বন্যার নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Is Raushan's political career coming to an end?

With Raushan Ershad not participating in the January 7 parliamentary election, questions have arisen whether the 27-year political career of the Jatiya Party chief patron and opposition leader is coming to an end

1h ago