করোনায় মৃত্যু, কবরের অনুমতি না পেয়ে শ্মশানে

ভারতের মুম্বাইয়ে করোনায় মারা যাওয়া এক মুসলিম বৃদ্ধকে কবরস্থান কমিটি দাফনের অনুমতি দেয়নি এমন অভিযোগ এনে তাকে দাহ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতের পরিবারের অভিযোগ— কবরস্থান কমিটি সেই বৃদ্ধের পরিবারকে কবর দিতে অনুমতি দেয়নি বলে তারা বাধ্য হয়ে তাকে দাহ করেছেন।

‘মুম্বাইয়ের মালাড এলাকায় এই ঘটনায় গতকাল সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করে’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘জানা গিয়েছে, মৃত সেই বৃদ্ধ মালাড মালওয়ানির বাসিন্দা। যোগেশ্বরী এলাকার এক হাসপাতালে তার মৃত্যুর পর মালাডের এই কবরস্থানে বুধবার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলে তাকে কবর দিতে বাধা দেওয়া হয়।

গণমাধ্যমকে পরিবার জানায়, কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে তাকে কবর দেওয়া যাবে না। পৌরসভা থেকে অনুমতি নেওয়া হলেও কবর দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে তাদের অভিযোগ। স্থানীয় থানা ও রাজনীতিবিদদের চেষ্টা-তদবিরেও কবরস্থান কমিটিকে রাজি করানো যায়নি।

এরপর স্থানীয় হিন্দু সৎকার সমিতির কাছে যাওয়া হলে তারা শ্মশানে দাহ করার অনুমতি দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাকে দাহ করা হয়।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্র রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক আসলাম শেখ বলেন, ‘সরকারি নির্দেশে বলা আছে, করোনায় কোনো মুলসিম নাগরিকের মৃত্যু হলে তাকে কাছে কোনো জায়গায় কবর দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাউকে না জানিয়ে, মরদেহ নিয়ে সরাসরি কবরস্থানে চলে গিয়েছিল মৃতের পরিবার। এমনকি, কবরস্থান কমিটিও তা জানত না।’

‘এর ফলে এই অসুবিধা হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মৃতের ছেলের অভিযোগ, ‘বাবার মরদেহ নিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। কেউ সাহায্য করতে আসেনি। আমরা মালাড-মালওয়ানি কবরস্থানে দাফন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, কবরস্থান কমিটি দাফনের অনুমতি দেয়নি। তাদের কথা— করোনায় মৃত্যু, তাই কবর দেওয়া যাবে না।’

এদিকে, স্থানীয় কাউন্সেলরের প্রশ্ন, ‘পৌরসভার কর্মীরা জানতেন করোনায় কোনো মুসলমানের মৃত্যু হলে স্থানীয়ভাবে কবর দিতে হবে। সেখানে মরদেহ কীভাবে হাসপাতাল থেকে কবরস্থানে আনা হলো?’

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Migrants in Malaysia: Worker faces deportation after speaking up

Nearly 200 workers then began a strike on Friday, he said, requesting not to be named for fear of backlash.

7h ago