আজ চালু ছিল সাভারের ১৩০ পোশাক কারখানা
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও শ্রমিকের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিল তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবুও আজ সোমবার সাভার ও আশুলিয়ার ১৩০টি পোশাক কারখানা চালু ছিল।
গত শনিবার রাতে বিজিএমইএ এর সভাপতি রুবানা হক কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের কাছে ওই অনুরোধ জানান। অবশ্য তার আগেই ঢাকায় আসেন হাজার হাজার পোশাকশ্রমিক। তাদের অনেকেই চাকরি বাঁচাতে গণপরিবহন না পায়ে পায়ে হেঁটেই ঢাকায় আসেন।
আজ সোমবার সকালে সাভারের বেশ কয়েকটি শিল্পাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব না মেনে দলে দলে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করছেন ও বের হচ্ছেন।
শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সাভার ও আশুলিয়ায় ছোট-বড় মোট ১৩০টি কারখানা চালু আছে। এরমধ্যে ১৮টি বিজিএমইএ এর তালিকাভুক্ত। আজ থেকে কিছু কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে।
কারখানা চালু হওয়ায় অনেক শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার কারখানা চালু হয়েছে। তাই চাকরি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন তারা।
পোশাকশ্রমিক মানিক মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সরকার এখনো আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিলো না। এদিকে মালিক বলছে সরকার সিদ্ধান্ত দিলেই কারখানা বন্ধ করা হবে।’
জেসমিন তারা বলেন, ‘কারখানায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা সম্ভব না। তাই ঝুঁকি নিয়েও বেতনের আশায় কাজ করছি।’
নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে কারখানা বন্ধসহ বেতন পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি কর্মকর্তা বলেন, ‘জরুরি শিপমেন্ট ও শ্রমিকদের বেতন প্রদানের জন্য কারখানা খোলা হয়েছে।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা খাইরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের সব কিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় কারখানা চালু রাখা উচিৎ নয়। কারণ, যে কোনো একজন শ্রমিক আক্রান্ত হলে তারপর নিয়ন্ত্রণ করা সবার জন্য কঠিন হবে।’
ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, ‘সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় সব মিলিয়ে ১৩০ টি কারখানা চালু আছে। এদের মধ্যে ৮/১০ টি কারখানা বড়। অধিকাংশ কারখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জরুরি শিপমেন্টের কারণে কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু কারখানায় পিপিই তৈরির কাজ চলছে।’
Comments