চট্টগ্রামে রাস্তায় দুই ব্যক্তির হঠাৎ মৃত্যু

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তির হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে। শহরের রাস্তায় তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে তারা স্ট্রোকে মারা গিয়েছেন।
ছবি গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া।

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তির হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে। শহরের রাস্তায় তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে তারা স্ট্রোকে মারা গিয়েছেন।

সোমবার সকালে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় ও চকবাজার থানার অলি খা মসজিদের সামনে থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ছবি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘটনায় মরদেহের কাছে কেউ যাওয়ার সাহস করেননি। পথচারীদের মধ্যে তৈরি হয় ভীতি।

এই দুজন হলেন—রিকশাচালক প্রফুল্ল দাশ (৫০) এবং পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন (৩৭)। প্রফুল্ল চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালার মৃত অলক দাশ দাশের ছেলে আর সেলিম সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীলের রহমত আলীর ছেলে। মৃত সেলিম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামীর জিরাত ফ্যাশন হাউসের সহকারী ম্যানেজার (মারচেন্ডাইজিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

চকবাজার থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. বদিউল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রফুল্ল নগরীর ষোলশহর এলাকায় একটি ভবনে প্রহরী হিসাবে রাতে কাজ করে আর দিনে রিকশা চালাতেন।

‘রাতে কাজ শেষে সোমবার সকালে তিনি হালিশহর এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে চকবাজার অলি খা মসজিদে আসেন। ভাড়া নেওয়ার পর অন্য রিকশাওয়ালাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন তাকে,’ এস আই বদিউল জানান।

ডাক্তারের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রফুল্ল স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন এবং লাশ পরিবারের কাছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, অফিসে যাওয়ার জন্য টাইগারপাস এলাকায় বাসের অপেক্ষা করছিলেন সেলিম। বাসে ওঠার সময় সেখানেই তিনি পড়ে যান।

সেলিমের ভাতিজা মো. রায়হান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে টহল পুলিশের একটি দল ও তারা মিলে সেলিমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

রায়হান বলেন সেলিমের ছয়মাস বয়সী একটি কন্যাসহ তিন সন্তান রয়েছে এবং তিনি এই পরিস্থিতির মধ্যে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া আসা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago