সীমান্তে ১১ ঘণ্টা অপেক্ষার পর দেশে ঢুকলেন তারা

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১১ ঘণ্টা অপেক্ষার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ বাংলাদেশি দেশে ঢুকছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর পক্ষ থেকে তাদের প্রথমে বলে হয়েছিল, দেশে ঢুকতে হলে তাদের বেনাপোল হয়ে আসতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে সীমান্তে বসে থাকার পর অবশ্য দেশে ঢুকেছেন তারা।
রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষারত সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বামুনডাঙ্গা গ্রামের ৬৫ বছরের ঊষা রানী মণ্ডল সীমান্তের ওপার থেকে ফোনে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে গিয়েছিলেন। রোববারর সকালে ভারতের বসিরহাটে ইমিগ্রেশন কাজ মিটিয়ে দেশে ঢোকার মুখে বিজিবি বলে দেয় ঢোকা যাবে না। ঢুকতে গেলে যেতে হবে হরিদাসপুর-বেনাপোল সীমান্তে। অন্যদিকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানায় যে তারা আর ভারতে ফিরতে পারবেন না। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে অসুস্থ শরীরে সীমান্তে বসে থাকতে হয়েছে।
মুঠোফোনে ভারতে বসিরহাটের ঘোঝাডাঙ্গা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা প্রশান্ত ঘোষ জানান, রোববার ভোমরা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মৌখিকভাবে তাকে জানিয়েছিলেন সোমবার থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। জবাবে বলেছিলেন এটি আন্তর্জাতিক ব্যাপার। কোনো লিখিত নির্দেশ ছাড়া এটা তিনি করতে পারবেন না। সকালে ১৩ জন বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশন পার করার পর শুনতে পান তাদের বিজিবি ঢুকতে দিচ্ছে না। এর পর ৫০-৬০ জন বাংলাদেশিকে তিনি ইমিগ্রেশন থেকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, সকাল থেকে কোনো যাত্রী দেশে আসেননি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ১৩ জন ফিরে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, ১৩ মার্চ থেকে বাংলাদেশিদের ভারতে যাওয়া ও ২২ মার্চ থেকে ভারতীয়দের বাংলাদেশে আসা বন্ধ রয়েছে। তবে গতকাল রোববার পর্যন্ত অনেকেই বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম মহিউদ্দিন জানান, বিজিবির প্রধান কার্যালয় থেকে তাকে জানানো হয়েছিল যে সোমবার থেকে বাংলাদেশিদের কেউ এই সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে পারবে না। বিষয়টি মৌখিকভাবে ভারতের ঘোঝাডাঙ্গা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। বাংলাদেশি যাত্রীদের যশোরের বেনাপোল হয়ে আসার জন্য পরামর্শ দিতে বলা হয়েছিল। তারপর ১৩ যাত্রী এসে পড়ায় তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে কোনো যাত্রী আসতে দেওয়া হবে না।
Comments