জ্বর-শ্বাসকষ্টে আরও ৪ জনের মৃত্যু

জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে মারা যাওয়া ব্যক্তি যে বাড়িতে থাকতেন বা যাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে।
দ্য ডেইলি স্টার এর জেলা প্রতিনিধিরা জানান, হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও বরিশালে করোনায় আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছিল এমন চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
হবিগঞ্জে ১ জনের মৃত্যু
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় জ্বর, শ্বাসকষ্টে একজনের (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। মৃতের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা আজ সোমবার দুপুরে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, তার মধ্যে করোনার প্রকট লক্ষণ ছিল না।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সতর্কতার জন্য পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১৮ বছরের এক গার্মেন্টস শ্রমিক মারা গেছেন।
আজ সোমবার দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তাড়াশ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শহিদুল গত ১ এপ্রিল ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরেছিলেন। তখন থেকেই তার হাঁচি-কাশির উপসর্গ ছিল। পরে, গলা ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। মারা যাওয়ার পর তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, তার বাড়িতে মেডিকেল টিম পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীকাল তা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
বরিশাল মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ১ জনের মৃত্যু
বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ভর্তির ১৫ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির দুইদিন ধরে জ্বর ও কাশি ছিল বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
মারা যাওয়ার পর ওই ব্যক্তির বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া এলাকার তালতলা লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজম।
টাঙ্গাইলে আ. লীগ নেতার মৃত্যু
কাশি-শ্বাসকষ্টে আজ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে। তিনি টাঙ্গাইল আদলতের আইনজীবী ছিলেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহেদুজ্জামান জানান, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদল তার নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষার জন্য এই নমুনা মঙ্গলবার ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হবে।
Comments