করোনা সন্দেহে ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ, ২টি গ্রাম ‘লকডাউন’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে যশোরে মোট ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সর্বশেষ ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। তারা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। গত ২৫ মার্চ থেকে যশোরে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।
Joshore-Lockdown
করোনার সংক্রমণ এড়াতে বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ও নওয়াপাড়া গ্রামকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় যুবকরা। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে যশোরে মোট ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সর্বশেষ ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। তারা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। গত ২৫ মার্চ থেকে যশোরে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, করোনার লক্ষণ দেখা দিলে আমরা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত যশোরে কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।

করোনার সংক্রমণ এড়াতে বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ও নওয়াপাড়া গ্রামকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় যুবকরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামে প্রবেশ ও বের হওয়া সীমিত করা হয়েছে। দুটি গ্রামের ছয়টি প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। গ্রামজুড়ে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক ওষুধ।

গ্রামবাসী বলেন, বহিরাগতদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউকে গ্রাম থেকে বের হতেও দেওয়া হচ্ছে না।

বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা অমরেশ বিশ্বাস বলেন, ‘বাইরে থেকে অনেক লোকজন আমাদের গ্রামে আসে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তিনি বাইরের লোকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বলেছেন। আমরা বোয়ালিয়া গ্রামের দুটি প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেবো না।’

নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রওশন ইজদানী বলেন, ‘নওয়াপাড়া গ্রামের যুবকরা লকডাউন ঘোষণা করেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোহাকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘প্রতিদিন বাইরের লোকজন এই দুই গ্রামে এসে ভিড় করছে, আড্ডাবাজি করছে। এটা আমাকে জানায় কয়েকজন যুবক। আমি তাদের বলেছি বাইরের লোকজন প্রবেশে বাধা দিতে।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ বলেন, আমি কিছুই জানি না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা যায় না।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago