তাদের ক্রিকেটে আসার প্রেরণা যারা

Mithun-Soumya-Liton

বড় বড় ক্রিকেট তারকাদের দেখে ক্রিকেটে মজেন অনেক তরুণ। সেই তরুণদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেরাও এক সময় হয়ে যান বড় তারকা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন তারকা মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার আর লিটন দাসের ক্রিকেটে আসার জ্বালানি যুগিয়েছিলেন কারা? করোনাভাইরাসের কারণে গৃহবন্দী সময়ে দ্য ডেইলি স্টারের কাছে সেই গল্পই শুনিয়েছেন তারা। 

মোহাম্মদ মিঠুন 

ছোটবেলায় সব ধরনের খেলাই খেলতাম, যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন। সব কিশোর বয়েসীরাই যা করে আরকি। আমার বড় ভাই ইখতিয়ার হোসেন মিলন টেপ টেনিসে আমাদের এলাকায় বেশ নামকরা ছিলেন, আমি তার ভক্ত ছিলাম। একদিন তিনি আমাকে বললেন, সব কিছুই খেলার উপায় নাই, যেকোনো একটা খেলা বেছে নিতে হবে। আমি ক্রিকেট বেছে নিলাম তারপর উনি আমাকে বিকেএসপির কথা বলল। যেখানে আমার মূল কাজ হবে খেলা, সেসঙ্গে পড়াও চলবে। পরে বিকেএসপিতে চেষ্টা পেতে পরিশ্রম শুরু করলাম। কঠোর নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশে সুযোগও পেয়ে গেলাম। আমি তখন থেকেই সিরিয়াস হলাম। ক্রিকেটার হিসেবে আমার অনুপ্রেরণা কোন তারকা খেলোয়াড় নন। এটা আমার বড় ভাই। 

সৌম্য সরকার 

২০০৪ সালে প্রথম আমি ক্রিকেট বলে কোন ম্যাচ খেলি। এটা ছিল স্কুল ক্রিকেটের ম্যাচ। আমি টিভিতে ক্রিকেট দেখতাম, সত্যি বলতে তখনো ভাবিনি ক্রিকেটার হবো। আমার বড় ভাই পুষ্পেন সরকার ও আমার বাবা ক্রিকেটার হতে আমাকে প্রেরণা দেন। আমি বিকেএসপিতে সুযোগ পেলাম কিন্তু তখনো ক্রিকেটের প্রতি তীব্র টান আসেনি। ২০০৭ সালে ভারত সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলে সুযোগ পেয়েও পাসপোর্টের সমস্যার কারণে যেতে পারি। ওই ঘটনায় হতাশ হই। একইসঙ্গে ক্রিকেটের প্রতি নিবেদন আরও বেড়ে যায়। 

লিটন দাস 

২০০৬ সালে দিনাজপুরে যখন প্রথমবার অনুশীলন করলাম, তখন খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমি আবু সালাম টিপু স্যারের কাছে অনুশীলন করতাম, তিনি আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেন। পরের বছর আমি আমি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৩ দলে সুযোগ পাই। ২০০৮ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হই। আপনি বলতে পারেন টিপু স্যার আমার ক্রিকেটে আসার প্রেরণাদাতা। আমার ভাইও অনেক প্রেরণা দিয়েছেন। বিকেএসপিতে সুযোগ পাওয়ার পর আমি ঠিক করলাম এই ছয় বছর কাজে লাগিয়ে আমি দেশের হয়ে খেলব। 







 

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

14h ago