পঞ্চগড়ে জ্বর-শ্বাসকষ্টে শিশুর মৃত্যু, ইটভাটা শ্রমিক আইসোলেশনে
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রামে নানা বাড়িতে হাফিজা বেগম নামের ওই শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা জানতে শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাফিজা তার নানার বাড়িতে থাকতো। গত কয়েকদিন ধরে সে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
তার নানাসহ স্থানীয় ১৩ জন ইটভাটা শ্রমিক টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার একটি ইটভাটা থেকে কাজ করে গত সোমবার এলাকায় ফিরেছেন।
টাঙ্গাইল থেকে তার নানা বাড়িতে ফেরার পরের দিনই করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই শিশুর মৃত্যু হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, ওই শিশুর নানার সঙ্গে বাড়িতে ফেরা একই এলাকার অপর ইটভাটা শ্রমিক আব্দুস সালাম (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার করোনা পরীক্ষার জন্য মৃত শিশু ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির সংগৃহীত নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে থাকা ওই শ্রমিক গতরাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি শুনেছি ওই শিশু অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগতো। তার হাঁপানি জাতীয় রোগ ছিল। আমরা বাড়িতে আসার পরদিন তার মৃত্যু হওয়ায় মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।’
তবে নিজে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসিনুর রহমান বলেন, ‘জ্বর, শ্বাসকষ্টে ওই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করেছি।’
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রত্যয় হাসান বলেন, ‘ওই শিশু দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল বলে জানতে পেরেছি। তারপরও স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া রাত ১০টার দিকে তার মরদেহ বিশেষ সর্তকতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন করা হয়েছে।’
Comments