৩২ দিন পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন রোনালদিনহো
সাজা ছিল ছয় মাসের। তবে ৩২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর জামিন পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি রোনালদিনহো। জামিন পেয়েছেন তার ভাই রোবার্তোও। মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের জেল থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে জামিন পেতে ১.৬ মিলিয়ন ডলার মুচলেকা দিতে হয়েছে তাদের। আর আপাতত গৃহবন্দি হয়েই থাকতে হবে দুজনকে।
বর্তমানে প্যারাগুয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছেন তারা। মামলা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগে তাদের পালিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ১.৬ মিলিয়ন ডলার ‘বন্ধক’ রাখা হয়েছে। অবশ্য এর আগেও বেশ কয়েকবার বড় অঙ্কের মুচলেকা দিতে চেয়েও জামিন মেলেনি তাদের। রোনালদিনহোর আইনজীবী অ্যাডলফো মারিন জানিয়েছিলেন, তার মক্কেল বড় তারকা বলেই এমনটা করা হয়েছে।
ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে প্যারাগুয়েতে ঢোকায় গত ৬ মার্চ রোনালদিনহোকে আটক করেছিল সে দেশের পুলিশ। ৪০ বছর বয়সী এ ব্রাজিলিয়ান তারকা ও তার ভাই জাল পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন। যে কারণে প্যারাগুয়ের আদালত তাদের ছয় মাস জেলে থাকার শাস্তি দেয়। পরে তার আইনজীবী রোনালদিনহোকে জেলে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। আদালতে আপিল করার পর অবশেষে বিচারক গুস্তাভো আমারিয়া তাকে জেল থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার রায় দেন।
রোনালদিনহো ও তার ভাই যে প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে প্যারাগুয়েতে গিয়েছিলেন, তারাই তাদের উপহার হিসেবে সে দেশের পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। আর বিষয়টি তাদের অজানা ছিল। সেটা আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছেন রোনালদিনহোর আইনজীবী। সেক্ষেত্রে খুব শিগগিরই তারা পূর্ণ মুক্তি পেতে পারেন বলে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে।
প্যারাগুয়ের একটি ক্যাসিনো মালিক নেলসন বেলোত্তির আমন্ত্রণে রোনালদিনহো ও তার ভাই দেশটিতে যান। একটি দাতব্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় তাদের। বর্তমানে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকার কাছে ব্রাজিলের পাসপোর্টও নেই। বছর দুই আগে তার পাসপোর্ট জব্দ করে ব্রাজিলিয়ান সরকার। লেক গুয়াইবাতে অনুমোদন না নিয়ে একটি চিনির কল বানানোয় তাকে ২৩ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। জরিমানার অর্থ দিতে না পারায় পাসপোর্ট জব্দ করা হয় রোনালদিনহোর।
Comments