করোনায় দেশে আরও একজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১১২
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২১। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১১২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১১২ এবং সর্বমোট ৩৩০। মৃত্যুবরণ করেছে গতকাল থেকে আজকে পর্যন্ত আরও একজন এবং মোট মৃত্যু ২১ জনের। মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। যেহেতু আমাদের টেস্টের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে একটা ল্যাবরেটরিতে হতো। এখন ১৫-১৬ টা ল্যাবরেটরিতে হয়। টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে বিধায় আমরা বুঝতে পারছি যে আমাদের আক্রান্তের হার কেমন।’
‘আমরা গতকালই চীনের এক্সপার্টের সঙ্গে যারা করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেছিল, ভিডিও কনফারেন্স করেছি। কীভাবে তারা চীনে মোকাবিলা করেছেন, সে বিষয়টি তারা জানিয়েছেন। সেখান থেকে কিছু উপদেশ আমরা গ্রহণ করেছি। সেই পরামর্শ অনুযায়ী ইতোমধ্যে কাজ করছি। তারা সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি আমাদের বলেছেন, আমাদের এখন ঘরে থাকতে হবে। আপনারা ঘরে থাকুন ভালো থাকুন। এবং আমাদেরকে বেশি বেশি করে পরীক্ষা করতে হবে। এটাই তাদের মূল ম্যাসেজ’, যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইসোলেশন সেন্টার আরও বাড়াচ্ছি। প্রতিদিনই আমরা ফ্যাসিলিটি বাড়িয়ে যাচ্ছি। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারটি উনারা দিয়েছেন। আমরা সেটাকে দুই হাজার বেডের একটা আইসোলেশন ইউনিট বা আইসোলেশন স্থাপনা হাসপাতাল তৈরি করছি। আশা করছি ১০-১৫ দিনেই এটি হয়ে যাবে। নর্থ সিটি করপোরেশনের একটা তৈরি মার্কেট ছিল। সেটাকে আমরা ১৪০০ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট করছি। সেটার কাজ চলমান। উত্তরায় দিয়াবাড়িতে চারটি বহুতল ভবন রয়েছে। সেগুলো আমরা নিয়েছি। যেখানে ১২০০ বেডের আইসোলেশন ইউনিট করতে পারব।’
‘আমরা আশা করবো, যারা বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলেন, সম্মানিত ব্যক্তিরা, তারা যদি আমাদেরকে পরামর্শ বেশি দেন এবং নেতিবাচক কথাবার্তা কম বলেন, তাহলে এটা বেশি ভালো হবে। জনগণের তখন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে পরে করোনা থেকে রক্ষা পাবো। আমার মূল ম্যাসেজ, প্রধানমন্ত্রীর মূল ম্যাসেজ হলো— ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন। টেস্ট করুন। নিচে বাঁচুন এবং অপরকেও বাঁচান’, বলেন তিনি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন শনাক্ত হওয়া ১১২ জনের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৭০ ও নারী ৪২। ১১২ জন রোগীর মধ্যে ১০ বছর বয়সের নিচে আছে তিন জন, ১১-২০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন নয় জন, ২১-৩০ বছর বয়সের মধ্যে ২৫ জন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে ২৪ জন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে ১৭ জন, ৫১-৬০ বছর বয়সের মধ্যে ২৩ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা একজনকে হারিয়েছি। তিনি পুরুষ, ঢাকার এবং তার বয়স ষাটোর্ধ্ব।’
তিনি জানিয়েছেন, নতুন শনাক্ত হওয়া ১১২ জনের মধ্যে ৬২ জন ঢাকা শহরের, ১৩ জন নারায়ণগঞ্জের এবং বাকিরা অন্যান্য জায়গার।
Comments