ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে দলে দলে ফিরছে মানুষ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিলেও ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে দলে দলে মানুষ ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের ঊনত্রিশ মাইল এলাকা থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৯০ জনকে আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও প্রাইভেট কারসহ ১৪টি যানবাহন।
পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিটি গাড়ি চালককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আটক ৯০ জনকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।’
স্বাস্থ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঠাকুরগাঁওয়ে লোকজন ফিরছে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম ও পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা ঊনত্রিশ মাইল এলাকায় অভিযান চালান।
তানভিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সরকার গণপরিবহন বন্ধ করেছে। এ অবস্থায় কোনো যানবাহনে যাত্রী বহন করার সুযোগ নেই।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি অভিযান শুরুর আগে অনেকেই ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েছেন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় যে এলাকাগুলো লকডাউন করা হয়েছিল, সেখান থেকে তারা পালিয়ে এসেছেন। এতে ঠাকুরগাঁওয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।
জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা মো. শামিন হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ ঠাকুরগাঁওয়ে আসছে। গণপরিবহনে তারা গাদাগাদি হয়ে বসে এতটা পথ এসেছে। প্রত্যেককে নজরদারির আওতায় আনা সম্ভব না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রী পরিবহন করলে রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নজরদারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
Comments